যে কারণে শোকজ করা হয় সিলেটের ডিসি সারওয়ারকে
প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২০
আপডেট:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৭

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলমকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করেছেন আদালত। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশও দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (এসকেআইএসসি) দুই শিক্ষক ও ভাইস প্রিন্সিপালকে বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ শোকজ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শোকজ নোটিশটি মো. সারোয়ার আলমের হাতে পোঁছাতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) আদালত এ শোকজ জারি করেন।
তবে শোকজের কোনো আদেশ কপি হাতে পাননি বলে গণমাধ্যমকে জানান সিলেট জেলা প্রশাসক ও দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার আলম।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি বলেন শোকজ করার বিষয়ে শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কোনো আদেশ কপি পাইনি।
শোকজ পাঠানোর বিষয়টি রোববার রাতে জানান খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা আবেদা হকের আইনজীবী ইরশাদুল হক।
চিঠিতে বলা হয়, সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্বপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ইন-চার্জ (নারী)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য শিক্ষকদের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদকরণসহ বহুল প্রচারের জন্য সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন যা খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশন-এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা সিলেটের প্রথম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে ১ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে স্কুলের ২ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্বে নেন নিজ উদ্যোগে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: