শেয়ালের কামড়ে আহত ১১ জন
প্রকাশিত:
১০ মে ২০২২ ০৩:৪১
আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৫১

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে হিংস্র প্রাণীর কামড়ে ১১ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৮ মে) রাতে উপজেলার চন্দনবাইশা ইউনিয়নের ঘুঘুমারী মধ্যপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রাণীটিকে কেউ চিনতে না পারলেও অনেকেই ধারণা করছেন পাগলা শেয়াল হতে পারে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘুঘুমারী মধ্যপাড়া গ্রামের মনিরের স্ত্রী লিউজি আক্তার (২৫) বাড়ির উঠানে গেলে হঠাৎ এক হিংস্র প্রাণী একই বাড়ির হজরত আলীর বাছুরকে কামড় দেয়। তিনি এগিয়ে গেলে তার পায়েও কামড় দেয়। পরে ভয়ে তিনি চিৎকার দিলে পাশের বাড়ির মিস্টার মিয়া তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। পরে তাকেও প্রাণীটি কামড়ে দেয়। এভাবে মুহূর্তের মধ্যে ওই এলাকার ১১ জন নারী-পুরুষকে কামড় দেয় প্রাণীটি।
ওই প্রাণীর কামড়ে বাকি আহতরা হলেন, ঘুঘুমারী মধ্যপাড়া এলাকার আকালু মণ্ডলের মেয়ে আশা খাতুন (১৪), নাদু মণ্ডলের মেয়ে খুকুমণি (৫০), আফতাব প্রামাণিকের ছেলে আফছার আলী (৬৫), জাহিদুল প্রামাণিকের ছেলে শাকিল (১৮), মকবুলের স্ত্রী মেজু বেগম (৫০), ফটিকের ছেলে রাশেদ (৩০), খালেকের ছেলে রায়হান (৩৫), মগা আকন্দের ছেলে ওয়াহেদ আলী (৬০) ও রফিকুলের ছেলে রাজীব (৩০)।
আহতরা তাৎক্ষণিক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আহতদের সঙ্গে কথা হলে তারা ওই প্রাণীটিকে অনেকেই শেয়াল আবার কেউ কেউ হায়েনা বলে ধারণা করেন। বিষয়টির খরব ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) দুরুল হোদা।
চন্দনবাইশা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুন নবী হিরো রাতেই আহতদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নেন। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দেন তিনি।
চেয়ারম্যান মাহমুদুন নবী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রাণীটি পাগলা শেয়াল ছিল। কয়েকজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসএন/তাজা/২০২২
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: