সয়াবিন তেলর আমদানি পর্যায়েও ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার
প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২২ ০০:৪৪
আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৩০

পরিশোধন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের পর সয়াবিন তেল ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়েও ১৫% ভ্যাট তুলে নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) অর্থমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তাওহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বিষয়ে আনুষ্ঠনিক পরিপত্র জারি করবে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় গত কিছুদিন ধরেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে বিক্রেতারা দাম বাড়াতে থাকায় সরকারকে উদ্যোগী হতে হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মনিটরিং সেলের হিসাবে, গত পাঁচ বছরে চাল-ডাল, তেল, লবণ, হলুদ-মরিচ, সবজি, মসলাসহ জীবনধারনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম অনেক ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
এই সময়ে সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ শতাংশ, আর পাম তেল ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম ১৫ শতাংশ, খাসির মাংস ২৩ শতাংশ এবং দেশি মুরগির দাম বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে রোজার আগে বাজার পরিস্থিতি সামলাতে তেল, চিনির মত নিত্যপণ্য আমদানিতে ভ্যাট কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, “ভোজ্য তেল আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। এটা কীভাবে, কতটুকু কমানো যায়, সে বিষয়ে এনবিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমাতে বলা হয়েছে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “ভোজ্যতেলে ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ কমানো হবে। উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ সেখানে কমানোর কথা বলা হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ রয়েছে, সেখান থেকে ১০ শতাংশ কমানো হবে। কী পরিমাণ কমানো হবে সেটা এনবিআরের এসআরও প্রকাশের পর জানা যাবে।”
এরপর সোমবার বিকালে সয়াবিন তেল ও পাম তেল পরিশোধনে ১৫ শতাংশ একং বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এসএন/তাজা/২০২২
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: