বেতন ও গ্রেড নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য সুখবর
প্রকাশিত:
৮ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৪
আপডেট:
৮ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩৯

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের সব প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বেতন-ভাতা ও গ্রেড বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপে বাড়িয়ে ১১তম গ্রেড করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে বিভাগীয় উপপরিচালক পর্যন্ত সবার বেতন এক গ্রেড করে উন্নীত করতে আগামী সপ্তাহে সুপারিশ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এ নিয়ে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে। কারণ বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলও দশম গ্রেডে। তদারকি কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের একই গ্রেডে অবস্থান প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি করছে। অন্যদিকে সহকারী শিক্ষকরা রয়েছেন ১৩তম গ্রেডে। বেতন কাঠামোয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে তিন ধাপ পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। টাকার অংকে এ ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে ইনক্রিমেন্টসহ প্রায় ১৫ হাজার। এ ব্যবধানকে ‘বৈষম্য’ হিসেবে দেখছেন সহকারী শিক্ষকরা। এ অসন্তোষ দূর করতে সরকার বেতন গ্রেড উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ও এতে সম্মতি দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন প্রস্তাবে সরকারের কাছে দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাবে শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডের (১১ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ১১তম গ্রেড (১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) করার কথা বলা হয়েছে। সারা দেশে ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন সাড়ে তিন লাখের বেশি।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউএপিইও) ১০ম গ্রেডের (১৬ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে নবম গ্রেড (২২ হাজার টাকা স্কেল) দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সারা দেশে এ পদের সংখ্যা দুই হাজার ৬০৭টি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউপিইও) দেওয়া হবে নবম গ্রেডের (২২ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে অষ্টম গ্রেড (২৩ হাজার টাকা স্কেল)। এ পদে সারা দেশে কর্মরত ৫১৬ জন কর্মকর্তা।
দেশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) আছেন ৬৮ জন। তাদের বেতন সপ্তম গ্রেডের (২৯ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ষষ্ঠ গ্রেড (৩৫ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) দিতে সুপারিশ করা হচ্ছে।
এর বাইরে বিভাগীয় উপপরিচালকদের পঞ্চম গ্রেডের (৪৩ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে চতুর্থ গ্রেডে (৫০ হাজার টাকার স্কেল) বেতন দেওয়ার সুপারিশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের পদনাম পরিবর্তন করে ‘শিক্ষক’ করা হয়েছে। তাদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউপিইও), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) এবং বিভাগীয় উপপরিচালকদের (ডিডি) বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: