বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


রিয়ার পেছনে সুশান্তর খরচ ৭০ লাখ টাকা


প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর ২০২০ ০১:৩৪

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১১

ফাইল ছবি

এক মাস জেল খেটে জামিনে ছাড়া পেলেন বলিউড তারকা রিয়া চক্রবর্তী। পাঁচ শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বোম্বে হাইকোর্ট। ৭০ পাতার রায়ে বিচারপতি সারাং কোতওয়াল জানিয়েছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের চক্রে জড়িত নন রিয়া। এ জামিনের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন বিষয় সামনে এল। সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই নিযুক্ত চিকিৎসকদের প্যানেল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে—খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত।

গত ৮ সেপ্টেম্বর সুশান্ত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। বুধবার বাইকুল্লা জেল থেকে ছাড়া পেলেন অভিযুক্ত নায়িকা। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন রিয়া। বিচারপতি সারাং কোতওয়াল রায়ে বলেছেন, রিয়া মাদক ব্যবসায়ীদের জালে জড়িয়ে নেই। তিনি যে মাদক নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাতে আর্থিক বা অন্য কোনো সুবিধার জন্য অন্য কাউকে তা দেননি। তাঁর অপরাধের কোনো ইতিহাস নেই। তাই জামিনে মুক্ত থাকাকালীন তিনি কোনো অপরাধমূলক কাজ করবেন বলে মনে হয় না।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বলিউডের পেশাদারি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাকি মানসিক অবসাদ, রিয়ার প্রত্যক্ষ কোনো ভূমিকা অথবা ইন্ডাস্ট্রির নেপোটিজম—ঠিক কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন সুশান্ত, তা–ই আপাতত খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ ছাড়া সুশান্তর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের আত্মহত্যার সঙ্গেও অভিনেতার মৃত্যুর যোগসাজশ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। উল্লেখ্য, আত্মহত্যার পূর্বে গুগলে দিশার মৃত্যু নিয়ে সার্চ করেছিলেন সুশান্ত।

এখানেই শেষ নয়। সুশান্তর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এমন কোনো প্রমাণ হাতে আসেনি যাতে বলা যেতে পারে তাঁর টাকা আত্মসাৎ করে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। বরং তদন্তে জানা গেছে তাঁর আর্থিক লেনদেনের একটা বড় অংশই খরচ হয়েছে একাধিক সম্পত্তি কেনা, বাইক কিংবা পছন্দের গাড়ি কেনা, কর্মচারীদের বেতন দেওয়া এবং বিভিন্ন কর মেটানোর জন্য।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে রাজপুতের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৭০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে রিয়ার পেছনে। বিশেষ সূত্রে খবর, এই টাকার বেশির ভাগই ভ্রমণ, স্পা এবং উপহারসামগ্রী কিনতে ব্যয় করা হয়েছিল। তবে রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তর আর্থিক সম্পত্তি আত্মসাৎ বা নষ্ট করার তেমন কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। আপাতত সুশান্তর আত্মহত্যার একাধিক কারণগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা।

এর আগে বিহার পুলিশের কাছে দায়ের করা এজাহারে প্রয়াত অভিনেতার বাবা কেকে সিং দাবি করেছিলেন, সুশান্তর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা গায়েব। ওই টাকা কোন খাতে গিয়েছে, তার হদিস জানা নেই পরিবারের। অভিনেতার আত্মহত্যার পেছনে বলিউডের নেপোটিজমসংক্রান্ত জল্পনাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনো কোনো বলিউড পরিচালক বা প্রযোজককে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করেননি গোয়েন্দারা।

তা ছাড়া অভিনেতার মানসিক সমস্যার ওষুধ সেবনের বিষয়টি স্বতঃপ্রণোদিত ছিল, নাকি অন্য কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো, সে বিষয়ও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তবে আত্মহত্যা করেছিলেন সুশান্ত, এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি সিবিআই বা চিকিৎসকদের পক্ষে।

 


সম্পর্কিত বিষয়:

সুশান্ত সিং মামলা মাদক

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top