সোমবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৫, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


আগুনে হিজাব পুড়িয়ে তরুণীদের বিক্ষোভ


প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:২০

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৪

 ছবি : সংগৃহীত

হিজাব আইন লঙ্ঘনের অপরাধে ইরানে পুলিশের হাতে আটক এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানে বিক্ষোভ চলছে। ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সারিতে বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে হিজাবে আগুন দিতে দেখা গেছে নারীদের। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাকিরা তখন উল্লাস করেন। এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদের বড় অংশে আছেন নারীরাই।

অনলাইনে তেহরানের কিছু ভিডিওতে দেখা যায়- নারীরা তাদের হিজাব খুলে ফেলছেন ও স্লোগান দিচ্ছেন- স্বৈরশাসক মুর্দাবাদ। ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে উদ্দেশ্য করেই এ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিচার চাই, স্বাধীনতা চাই, হিজাব পরতে বাধ্য করা যাবে না, এসব স্লোগান দিতেও দেখা যায়। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী বিবিসির কাছে কিছু ছবি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন, দাঙ্গা পুলিশ তাকে পিটিয়ে আহত করেছে।

তিনি জানান, পুলিশ ক্রমাগতভাবে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছিল। তাদের চোখ জ্বলে যাচ্ছিল। তারা পালিয়ে যাচ্ছিল, পুলিশ তখন তাদের ঘিরে ফেলে পেটায়। পুলিশ বলে তিনি যৌনকর্মী, শরীর বিক্রির জন্য রাস্তায় নেমেছেন।

তেহরানের গভর্নর মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) একটি টুইটে লিখেছেন অস্থিরতা তৈরির জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করা হচ্ছে। আর ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, আমিনির মৃত্যুকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, উরমিয়া, পিরানশাহর এবং কেরমানশাহতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত যে তিন জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে এক নারীও রয়েছেন।

উল্টোদিকে কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তারা কেরমানশাহে দু’জন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সিরাজে একজন পুলিশ সহকারীকে হত্যা করেছে।

হিজাব না পরার অপরাধে পুলিশি নির্যাতনে মাশা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে এ পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর কথা জানা যাচ্ছে। তিন দিন কোমায় থাকার পর ২২ বছর বয়সী এই কুর্দিশ তরুণী গত শুক্রবার মারা যান।

ইরানের নৈতিকতা পুলিশ যখন মাশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে তখন তিনি তেহরানে তার ভাইয়ের সাথে ছিলেন। হিজাব ও বোরকা না পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে একটি ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি পড়ে যান ও কোমায় চলে যান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ জানান, পুলিশ আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে মাথায় আঘাত করে।

তবে পুলিশ দাবি করছে এই তরুণীকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। বরং হঠাৎ হার্ট ফেইল করে তার। কিন্তু আমিনির পরিবার বলছে, তিনি একেবারে সুস্থ ছিলেন।

সূত্রঃ বিবিসি

 


সম্পর্কিত বিষয়:

তেহরান

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top