বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউকে অনুরোধ করবে ইউক্রেন
প্রকাশিত:
২৭ জুন ২০২৫ ১৯:৩০
আপডেট:
২৭ জুন ২০২৫ ২৩:৩৫

বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অনুরোধ করবে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন।
তাদের অভিযোগ, রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে ‘চুরি হওয়া গম’ বাংলাদেশে রফতানি হচ্ছে। এই বাণিজ্য বন্ধে একাধিক সতর্কতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোয় এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি।
শুক্রবার (২৭ জুন) লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে ‘চুরি হওয়া গমের’ বাণিজ্য বন্ধে একাধিক সতর্কতা জারি করেছে তারা। তবে বাংলাদেশ প্রতিক্রিয়া না জানানোয় ইইউর কাছে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করবে ইউক্রেন।
দক্ষিণ এশিয়ার একজন শীর্ষ ইউক্রেনীয় কূটনীতিক রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশটির দাবি, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি এলাকা থেকে গম সরিয়ে নিয়ে রাশিয়া তা নিজেদের গমের সঙ্গে মিশিয়ে বিভিন্ন দেশে রফতানি করছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
এদিকে রুশ কর্মকর্তাদের দাবি, পূর্বে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে বিবেচিত এই অঞ্চলগুলো এখন রাশিয়ার অংশ এবং চিরকাল থাকবে। ফলে গম চুরির কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া নথি অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে ইউক্রেন দূতাবাস এ বছর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বেশ কয়েকটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে রাশিয়ার কাভকাজ বন্দর থেকে পাঠানো এক লাখ ৫০ হাজার টনের বেশি চুরি হওয়া গম প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভারতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক বলেন, ঢাকা এই যোগাযোগের কোনো জবাব দেয়নি।
তিনি জানান, ইউক্রেনের গোয়েন্দা তথ্যে দেখা গেছে, রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা গম রুশ গমের সঙ্গে মিশিয়ে পাঠাচ্ছে। তাই কিয়েভ এখন এই বিষয়টি আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
পোলিশচুক বলেন, এটি একটি অপরাধ। আমরা আমাদের তদন্তের ফলাফল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করব এবং তাদের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধের কোনো জবাব দেয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: