রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫, ১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় নিহত অন্তত ১১১


প্রকাশিত:
১৪ জুলাই ২০২৫ ১৮:৩৩

আপডেট:
৩ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৬

ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানে চলতি মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় ১১০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গত জুনের শেষের দিক থেকে শুরু হওয়া এই মৌসুমী বর্ষণ-বন্যায় নিহতদের কয়েক ডজনই শিশু। সোমবার পাকিস্তানের সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার গত ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমী বৃষ্টিপাতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন। এরপরই বাকিরা মারা গেছেন আকস্মিক বন্যায়।

দেশটিতে গত জুনের শেষ দিকে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় একটি নদীর তীরে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ১৩ জন পর্যটক বন্যার পানিতে ভেসে যান। পরে তাদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলেছে, দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত-বন্যা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের অন্তত ৫৩ জনই শিশু। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে দেশটির সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে সবেচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের প্রাণ গেছে।

পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে জানিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। ওই অঞ্চলে বন্যা, ভূমিধস এবং প্রবল বাতাসের কারণে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ায় বার্ষিক বর্ষণের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই দেখা যায় মৌসুমী বৃষ্টিপাতের সময়। আর এই মৌসুমী বৃষ্টিপাত ভারতে জুনের প্রথম এবং পাকিস্তানে জুনের শেষের দিকে শুরু হয়। এই বৃষ্টিপাত স্থায়ী হয় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

মৌসুমী বার্ষিক বৃষ্টিপাত এই অঞ্চলের কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং লাখ লাখ কৃষকের জীবিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারী বর্ষণের সঙ্গে বন্যা, ভূমিধস এবং ভবন ধসের মতো বিপর্যয়ও দেখা যায়।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়াও ক্রমান্বয়ে অধিক উষ্ণ হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে আবহাওয়ার ধরনে পরিবর্তন দেখা গেছে। তবে জটিল এই মৌসুমী ব্যবস্থায় বৈশ্বিক উষ্ণতা কীভাবে প্রভাব ফেলছে, সেই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির ২৪ কোটিরও বেশি মানুষ ক্রমবর্ধমান হারে চরম বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।

এর আগে, ২০২২ সালে নজিরবিহীন মৌসুমী বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। কয়েক দশকের ভয়াবহ এই বন্যায় দেশটিতে ১ হাজার ৭০০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দেশটির অনেক অঞ্চল এখনও সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

চলতি বছরের মে মাসে দেশটিতে প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অন্তত ৩২ জন নিহত হন।

সূত্র: এএফপি।

এসএন /সীমা


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top