ট্রাম্প-নীতির কড়া বিরোধিতা, ভারতের পাশে থাকার বার্তা রাশিয়ার
প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২৫ ১০:৩৮
আপডেট:
৭ আগস্ট ২০২৫ ১৭:১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কড়া বিরোধিতা করেছে রাশিয়া। সেইসঙ্গে ভারতের পাশে থাকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সার্বভৌম কোনো দেশের স্বাধীনভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এ ছাড়া মস্কো অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প বিভিন্ন দেশকে হুমকি দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করছেন।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার জন্য বুধবার (৬ আগস্ট) ভারতীয় পণ্যে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। বাড়তি ২৫ শতাংশের ফলে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলো আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যেকোনো সার্বভৌম দেশের স্বাধীনভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পেসকভের বক্তব্যে কোথাও সরাসরি ভারতের নাম উল্লেখ করা না হলেও ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ যে ট্রাম্পের শুল্কবাণের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হুমকির তোয়াক্কা না করে এবং বাড়তি শুল্কের চাপের মধ্যেই মস্কো সফর করছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বৃহস্পতিবার অজিত ডোভাল রাশিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সরকারিভাবে ভারত ও রাশিয়া কেউই ডোভালের এই সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। আবার ডোভালের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ সত্ত্বেও দেশটির সঙ্গে ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে। এটি বাণিজ্যিক স্বার্থেই করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তাই ট্রাম্পের শুল্কনীতির হুমকির মুখে সেই সম্পর্ক আরও নিবিড় হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। মোদির চীন সফর হলে এতে ভূরাজনৈতিক সমীকরণের এক নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: