বুধবার, ১৩ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


রাশিয়া থেকে শুধু তেল আমদানির কারণেই কি ভারতের উপর ‌‘রুষ্ট’ ট্রাম্প?


প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ২০:০৩

আপডেট:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২৪

ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান অনেক মানুষকে অবাক করেছিল। জাতিসংঘে বেশ কয়েকবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; তাও আবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য হোয়াইট হাউসে গেলে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। সেই সময় তিনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) অভিযোগ তোলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তি চান না। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যদি সমঝোতা করতে রাজি না হন, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর এই বিষয়ে থাকবে না। পাশাপাশি ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জিততে পারবে না বলেও দাবি করেছিলেন ট্রাম্প।

এই সমস্ত বিষয়কে মাথায় রেখে বিশেষজ্ঞদের মনে হয়েছিল, ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু গত পাঁচ মাসে পরিস্থিতি বদলেছে, এবং সেটা বেশ দ্রুতই হয়েছে।

জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-রাশিয়ার অংশীদারিত্বকে ভালো চোখে দেখছেন না তিনি। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ভারতের ওপর ‘রুষ্ট’ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বাণিজ্য শুল্ক দ্বিগুণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

এই নিয়ে যেমন ভারতীয় গণমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে তেমনই রাশিয়ান গণমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা দেখা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প কি এভাবে চাপ তৈরি করে রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে রাখতে পারবেন?

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস গত ৯ আগস্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সামনে এই একই প্রশ্ন রেখেছিল। সেই সময় রাশিয়ান নিরাপত্তা পরিষদের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য অ্যান্ড্রু সুশেন্তসভ জানিয়েছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প চাপ তৈরি করলেও ভারত কিন্তু মার্কিন বিদেশ নীতি অনুসরণ করবে না।

তার মতে, ভারতের ক্ষেত্রে এই ধরনের মার্কিন নীতি আগেও ব্যর্থ হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতেও যুক্তরাষ্ট্রের এই চাপ বেশি দিন টিকবে না।

• কারণ কি শুধুই তেল?

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের বিরুদ্ধে রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে জিইয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছিলেন। এই কারণ দেখিয়েই বাড়তি বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করেন তিনি।

অ্যান্ড্রু সুশেন্তসভ বলেছেন, এক্ষেত্রে এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ যে (ডোনাল্ড ট্রাম্পের) বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করার আগে তিনি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) ভারতের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছে। এটা কিন্তু আসল কারণ নয়। ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এভাবে চাপ দেওয়ার পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে।

বিষয়টির বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তার মতে, জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ ভারত। ভারত দ্রুত উন্নতি করছে। চীনের সঙ্গে সংঘাতের কথা মাথায় রেখে ভারতকে নিজেদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

‘‘এই পরিস্থিতিতে তারা চায় ভারত মার্কিন নেতৃত্ব মেনে নিক এবং নিজেদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির তাগিদ থেকে সরে আসুক। কিন্তু যে কৌশলের হাত ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চাইছে, তা আদৌ লাভজনক হবে না। তাই ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই চাপও বেশিদিন থাকবে না।’’

বাণিজ্যকে ঢাল করে এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অ্যান্ড্রু সুশেন্তসভ বলেছেন, চাপ প্রয়োগ করা মার্কিন কৌশলের একটা অংশ। যখন এই কৌশল ব্যর্থ হয়, তখন প্রেসিডেন্ট নিজেই নিজের জয় ঘোষণা করেন এবং চুপচাপ আগের সিদ্ধান্তগুলো বদলে ফেলেন।

‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যকে ঢাল করে বিষয়টাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায়; যা উস্কানির সমান। কিন্তু সেখানে সমঝোতার জন্য খুবই কম জায়গা থাকে।’’

উদাহরণস্বরূপ তিনি ব্রাজিলের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, ব্রাজিলের ক্ষেত্রে ট্রাম্প তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেন। সে দেশের বিরোধীদের সমর্থন করছেন ট্রাম্প। এতে প্রতিরোধ বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, এর ফলে প্রভাবিত দেশগুলো এক সময় প্রতিক্রিয়ার পথও খুঁজতে শুরু করে।

• মার্কিন চাপের মাঝেই রাশিয়া সফরে অজিত দোভাল

মার্কিন চাপের মুখে পড়েও এখনও রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে দেখা যায়নি ভারতকে। গত ৬ আগস্ট ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৭ অগাস্ট ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল রাশিয়ায় পৌঁছান। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

সেই সময় অজিত দোভাল বলেছিলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারতে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের কথা হয় ৮ আগস্ট। মোদিও বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন চলতি বছরে ভারত সফরে আসতে চলেছেন। একই তথ্য প্রকাশিত হয় রাশিয়ার গণ্যমাধ্যমেও।

রাশিয়া টুডেতে ৭ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বছরের শেষের দিকে নয়াদিল্লি সফরে যাবেন ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চলতি মাসের শেষের দিকে রাশিয়া সফর করবেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার জন্য ভারতের ওপর চাপ ছিল, সেই সময় রাশিয়া সফরে এসেছিলেন অজিত দোভাল। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিরল মৃত্তিকা, বিমানের যন্ত্রাংশ উৎপাদন এবং রেলপথে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে একই কথা বলা হচ্ছে।

‘‘ডোভাল আরও এস-৪০০ সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। বর্তমানে ভারতের কাছে তিনটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত সেগুলোর ব্যবহার করেছিল।’’

রুশ মিডিয়া গ্রুপ রসিয়া সেগোদনায়ার মহাপরিচালক দিমিত্রি কিসেলেভ গত সপ্তাহে স্পুটনিক নিউজকে বলেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব দুই দেশের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন আল্টিমেটামের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ছিল যৌক্তিক ও ভারসাম্যপূর্ণ। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের ওপর কোনও চাপ তৈরি করা যাবে না। ভারত ও রাশিয়ার সাধারণ মানুষও পরস্পরকে বিশ্বাস করেন।

• রাশিয়া নয়, ভারতকে সাজা

লেই টার্নার ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। মস্কো টাইমসের এক প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আসন্ন শীর্ষ বৈঠকের বিষয়টাকে বিশ্লেষণ করেছেন তিনি।

লেই টার্নার লিখেছেন, আগে বলা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। কিন্তু এখন ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ আগস্টের আগে এই ট্যারিফও প্রযোজ্য হবে না।

‘‘তার আগে ১৫ আগস্ট প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য নিশানা করা হয়নি।’’

টার্নার মনে করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জন্য ভারতকে শাস্তি দেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে অনেকটা ইউ-টার্নের মতো। কারণ এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে স্বৈরশাসক বলে অভিহিত করেছিলেন।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার পক্ষ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছিলেন, ২০১৪ সালের আগে ইউক্রেনের সীমানা যেমন ছিল, তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় এবং তারা ন্যাটোতেও যোগ দিতে পারবে না।

টার্নার লিখেছেন, ইউক্রেনের স্বার্থ উপেক্ষা করে পুতিন ও ট্রাম্পের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতা করতে পারে। রাশিয়ার ওপর নতুনভাবে শুল্ক আরোপের জন্য ট্রাম্প কিছুই করেননি। অথচ যুক্তরাষ্ট্র চাইলে অনেক কিছুই করতে পারত। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল ট্যাংকারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, রাশিয়ার তেল বাণিজ্যে সহায়তাকারী ব্যাংক ও শোধনাগারগুলোর ওপরও আদালাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।

‘‘এখন আশঙ্কা জন্মাচ্ছে, ট্রাম্প এমন এক চুক্তিতে রাজি হতে পারেন; যার ফলে ইউক্রেন তাদের জমি হারাবে। এবং যদি ইউক্রেন তা অস্বীকার করে, তাহলে রাজি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিতে থাকবে।’’

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর একই পদ্ধতিতে কাজ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টার্নার লিখেছেন, জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কয়েকবারই এমনটাই করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, তারা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানও ব্যাহত করেছে। কিন্তু রাশিয়ার ওপর কোনও চাপ দেয়নি।’’

• চাপ দিয়ে লাভ হবে না

গত সাত আগস্ট ইউরোসারাবিয়া ডট নেটের সম্পাদক কনস্ট্যান্টিন ভন হফমেইস্টার ভারতের ওপর চাপানো এই বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ গভীর হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল মাত্র ১৩ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ বিলিয়ন ডলার।

‘‘ভারত রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও সার আমদানি করছে। এর ফলে রাশিয়া ভারতের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার হয়ে উঠেছে। বর্তমানে রাশিয়া থেকে মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ৩৫-৪০ শতাংশ ভারতে যায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত ৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানি রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে।’’

তিনি বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে দুই দেশ। নিবন্ধে ভন হফমেইস্টার লিখেছেন, রাশিয়া ও ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা অবসান ঘটাচ্ছে। পাশ্চাত্যের আর্থিক ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে এই দুই দেশ ব্যবসা করছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ স্থানীয় মুদ্রায় হচ্ছে। এখন বাণিজ্যের নদী মস্কো থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত প্রবাহিত হচ্ছে। এখন দুই দেশেরই সুইফট করিডোরের কোনও প্রয়োজন নেই।

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ মার্কিন মনোভাবের সমালোচনা করে থাকেন। তিনি গত ২৮ জুলাই এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে আল্টিমেটাম গেম খেলছেন, ৫০ দিন না কি ১০ দিন... ট্রাম্পের দুটি জিনিস মনে রাখা উচিত :

১। রাশিয়া ইসরায়েল নয়, ইরানও নয়।

২। প্রতিটা নতুন আল্টিমেটাম একটা হুমকি এবং এক পা এক পা করে যুদ্ধের দিকে এগানোর সমান এবং সেটা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে নয়, তার নিজের দেশের সঙ্গে। নিদ্রায় থাকা বাইডেনের পথ যেন তিনি অনুসরণ না করেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মেদভেদেভের ভাষার তীব্র বিরোধিতা করেন এবং তাকে রাশিয়ার ব্যর্থ প্রেসিডেন্ট বলেও অভিহিত করেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top