গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করলো নরওয়ে
প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১২:১৫
আপডেট:
২৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:০৪

বিশ্বের বৃহত্তম সার্বভৌম সম্পদ তহবিল নরওয়ের নর্গেস ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট (এনবিআইএম) পশ্চিম তীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মার্কিন যন্ত্র প্রস্তুতকারক ক্যাটারপিলার এবং পাঁচ ইসরায়েলি ব্যাংকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
এনবিআইএমের নির্বাহী বোর্ড সোমবার জানায়, যুদ্ধ ও সংঘাতের পরিস্থিতিতে ব্যক্তির অধিকার লঙ্ঘনে কোম্পানিগুলোর ‘অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি’ থাকার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপারিশ এসেছে তহবিলের স্বাধীন নৈতিকতা কাউন্সিলের কাছ থেকে।
তহবিল জানায়, ক্যাটারপিলারের তৈরি বুলডোজার ফিলিস্তিনি সম্পত্তি ধ্বংসে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করছে। কোম্পানিটি এ প্রবণতা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বরং আরও যন্ত্র পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৩০ জুন পর্যন্ত তহবিলের কাছে প্রায় ২.১ থেকে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের ক্যাটারপিলার শেয়ার ছিল, যা কোম্পানিটির প্রায় ১.২ শতাংশ মালিকানার সমান। এতে এনবিআইএম ছিল ক্যাটারপিলারের অষ্টম বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার।
ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অব ইসরায়েল, ব্যাংক লেউমি, মিজরাহি তেফাহোট ব্যাংক, ব্যাংক হাপোয়ালিম এবং মূল কোম্পানি ফিবি হোল্ডিংস—এ পাঁচ ব্যাংকের বিরুদ্ধেও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনে অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছর এ পর্যন্ত আরও ২০টির বেশি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বন্ধ করেছে এনবিআইএম। তবে এবারই প্রথম কোনো মার্কিন কোম্পানি তালিকা থেকে বাদ পড়ল। তহবিলের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।
নরওয়ের তহবিল ও এর নীতি
প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের এ তহবিল বিশ্বের প্রায় দেড় শতাংশ তালিকাভুক্ত শেয়ারের মালিক। নরওয়ের সংসদ কর্তৃক নির্ধারিত নৈতিক নির্দেশনার ভিত্তিতে এটি পরিচালিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত স্বাধীন নৈতিকতা কাউন্সিল নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ পর্যালোচনা করে এবং পর্যবেক্ষণ বা বাদ দেওয়ার সুপারিশ দেয়।১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, পূর্ব জেরুজালেম ও গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল ওই এলাকাগুলোকে এখনো দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ইসরায়েলি বসতিকে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: