মঙ্গলবার, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


জেন-জি’দের বিক্ষোভ

নেপালে যে কারণে বন্ধ হয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব


প্রকাশিত:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১২

আপডেট:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৩৪

ছবি : সংগৃহীত

সরকারের দুর্নীতি ছাড়াও নেপালে জেনারেশন-জেড আরেকটি যে কারণে বিক্ষোভ করছে সেটি হলো- সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত।

নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণা দেওয়া হয় গত বৃহস্পতিবার। পরদিন থেকে কিছু প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার সীমিত হতে থাকে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা মাধ্যমগুলোর মধ্যে আছে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স ও লিংকডইন।

সরকারের দাবি, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এসব প্ল্যাটফর্মের কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন নেয়নি। এ কারণে সরকার এগুলোতে ব্যবহারকারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি সরকার যুক্তি দিয়েছে যে, অনলাইনে বিদ্বেষ, গুজব ও সাইবার অপরাধ ঠেকাতে নিবন্ধনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার এএফপি জানায়, নেপালে কয়েক লাখ মানুষ এসব জনপ্রিয় মাধ্যম ব্যবহার করেন। প্রবেশাধিকার বন্ধের সিদ্ধান্ত তাদের মধ্যে ক্ষোভের তৈরি করেছে। দেশটির সরকার নিবন্ধনহীন মোট ২৬টি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।

নেপালের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীর পরাজুলি এএফপিকে বলেন, রোববার সকারের নির্দেশনার পর তারা ইউআরএল বন্ধ করে দেন। পুরোপুরি শাটডাউন করতে সময় লাগবে। কোন পদ্ধতিতে শাটডাউন করা হবে সেটি ঠিক করা হচ্ছে।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্সের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে অনেক নেপালি বিনোদন, খবর ও ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা করেন। এমনই একজন ২৫ বছর বয়সী জেনিশা জোশি। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে গয়না ও আনুষাঙ্গিক সামগ্রী বিক্রি করেন।

জোশি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ। ফেসবুক বন্ধ হলে তাঁর ব্যবসায় ধস নামবে। এ ছাড়া, তার আত্মীয়রা দেশের বাইরে থাকেন। তাদের সঙ্গে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। সরকারের এটি বন্ধ করা উচিত হয়নি।

২০২৩ সালে নেপাল সরকার একটি আইন পাস করে। এর আওতায় নেপালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপর এ নিয়ে আদেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা সুমনা শ্রীষ্টা বলেন, ‘সরকার স্বাধীন মতপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’ কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টসের আঞ্চলিক পরিচালক বেহ লিহ ইয়ি বলেন, এই পদক্ষেপ সংবাদ স্বাধীনতার জন্য এক বিপদজনক নজির।

কিছু ব্যবহারকারী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) এর মাধ্যমে গত কয়েকদিন প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করেছেন। তবে পুলিশের সাইবার ব্যুরো এ নিয়েও ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে।

এর আগেও নেপালের সরকার জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছিল। অনলাইন প্রতারণা ও মানি লন্ডারিংয়ের যুক্তি দিয়ে গত জুলাই মাসে টেলিগ্রাম অ্যাপের অ্যাক্সেস ব্লক করা হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে নেপাল সরকার টিকটকের ওপর থেকে নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top