বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমল
প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২২ ০৪:৪৪
আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:২৭

গত জুলাই মাসে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে আরও একধাপ। ইতোমধ্যে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত মাসে রাশিয়া-ইউক্রেনের চুক্তির পরে আটকে থাকা খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। মূলত তার প্রভাবেই অনেক খাবারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর জেরে পরের মাস মার্চে বিশ্বে খাদ্যের দর রেকর্ড বৃদ্ধি পায়। পরে নানা দেশের সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় টানা চার মাস কমল খাবারের মূল্য।
এফএও’র বৈশ্বিক খাদ্যসূচকের সিরিয়াল অনুযায়ী, ভোজ্য তেল, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস ও চিনির দাম ওঠা-নামার মাসিক হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গেছে, জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে এগুলোর দাম ব্যাপক হারে কমেছে।
গত জুলাইয়ে বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের গড় দামের সূচক ছিল ১৪০ দশমিক ৯ পয়েন্ট। জুনে তা ছিল ১৫৪ দশমিক ৩ পয়েন্ট। অর্থাৎ জুনের তুলনায় জুলাইয়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম ৮ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিম্নমুখী হয়েছে।
এরই মধ্যে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু করেছে ইউক্রেন। এতে বিশ্ববাজারে গমের দামও ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
জুলাইয়ে বিশ্বে ভুট্টার গড় দামের সূচক কমেছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। ইউক্রেন-রাশিয়ার চুক্তি ছাড়াও আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
তবে গত মাসে খাবারের মূল্য কমলেও গত বছরের তুলনায় তা এখনো ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এর পেছনে আছে ইউক্রেনীয়-রুশ যুদ্ধ, প্রতিকূল আবহাওয়া, অতিরিক্ত উৎপাদন খরচ ও পরিবহন ব্যয়।
এফএও’র প্রধান অর্থনীতিবিদ মাক্সিমো তোরেরো জানান , উচ্চ স্তর থেকে খাদ্যপণ্যের দর কমলেও এখনো অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কৃচ্ছ্রসাধন, মুদ্রার অস্থিরতা এবং সারের উচ্চমূল্যে ভবিষ্যতে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সেগুলো মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
সম্পর্কিত বিষয়:
জাতিসংঘ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: