নিয়োগপত্র ভুয়া প্রমাণিত : ২০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন হাইকোর্ট
প্রকাশিত:
১৫ জানুয়ারী ২০২৩ ০০:০৯
আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:২৯

বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার দাবিকারী রফরফের নিয়োগপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে এই টাকা সুপ্রিম কোর্টের কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) এ রায় দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রফরফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম।
শনিবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
রিটের নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল মো. ইব্রাহিমকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। মো. ইব্রাহিমকে নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিয়োগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন রফরফ। রিটে তিনি নিজেকে প্রকৃত নিকাহ রেজিস্ট্রার দাবি করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইব্রাহিমের নিয়োগ স্থগিত করে আদেশ দেন। পরে মো. ইব্রাহিম এই রিটে পক্ষভুক্ত হন এবং স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, রফরফের নিয়োগপত্র জাল/ভুয়া।
দেখা যায়, ২০২০ সালের ৭ জুলাই আইন মন্ত্রণালয় থেকে রফরফকেও নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছে। রিট শুনানির এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ২৬ জুলাই কার নিয়োগ বৈধতা যাচাইয়ের জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, রফরফের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করা আইন মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আনোয়ারুল হক ও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব মুরাদ জাহান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, তার নিয়োগপত্র ভুয়া ও বানোয়াট। এই ধরনের কোনও চিঠি অত্র দপ্তর থেকে কখনও ইস্যু করা হয়নি। রফরফ নিজে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তৈরি/জ্বাল করেছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: