অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনের জামিন নামঞ্জুর
প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৩
আপডেট:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৬

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীসহ (৬১) তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়েছে।
এ জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এছাড়া আদালত সুব্রত বাইনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১৫ এর বিচারক সাইফুর রহমান মজুমদারের আদালতে এ আদেশ দেন।
আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। সুব্রত বাইনের আইনজীবীরা জামিন শুনানি করেন। জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আগামী ১৫ অক্টোবর চার্জশিটভুক্ত সব আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গত ১৩ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুনাল ১৫ নম্বর আদালতে মামলাটি বদলি করা হয়।
চার্জশিটভুক্ত অপর তিন আসামি হলেন– আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির।
গত ২৭ মে আনুমানিক ভোর ৫টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে সুব্রত বাইনের ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৮ মে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এসআই আসাদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী ‘সেভেন স্টার গ্রুপ’ পরিচালনা করতো।
সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। পরে সে ভারত পালিয়ে যায়। ৫ আগস্টের পর সে দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি শুরু করে। তার সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ।
পরে হাতিরঝিল থানার নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে এম এ এস শরীফ ও মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: