মিষ্টি আলুর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন
প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:০২
আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৭

লাল রঙের খোসায় মোড়ানো লম্বাটে আলুকে মিষ্টি আলু বলা হয়। কেউ কেউ রাঙা আলু নামেও চেনেন। চিকিৎসক থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদ— সবারই পছন্দের খাতায় রয়েছে মিষ্টি আলুর নাম। যদিও এর নাম শুনলে অনেকে নাক সিঁটকান। তবে মিষ্টি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে খাদ্যতালিকা এটি রাখতে বাধ্য হবেন।
কেন খাবেন মিষ্টি আলু? এর পুষ্টিগুণ কী? খেলেই বা কী কী উপকারিতা মেলে? জানুন এই প্রতিবেদনে-
মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম কাঁচা মিষ্টি আলুতে থাকে- ক্যালোরি: ৮৬, মিনারেল: ৭৭ শতাংশ, প্রোটিন: ১.৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট: ২০.১ গ্রাম, চিনি: ৪.২ গ্রাম, ফাইবার: ৩ গ্রাম, চর্বি (ফ্যাট): ০.১ গ্রাম।
এই আলু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হজমক্রিয়া উন্নত করা— সব কাজই করে থাকে। মিষ্টি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি
মিষ্টি আলুতে পাওয়া যায় ভিটামিন-এ এর মতো পুষ্টি উপাদান। এই ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই সবজি। ভিটামিন এ ছাড়াও মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা কোলাজেন উৎপাদন এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিটা-ক্যারোটিন এমন এক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, যাকে শরীর ভিটামিন এ-তে পরিণত করে। মিষ্টি আলুতে এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
শরীরে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টগুলো কোষের যেকোনো ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় যখন শরীরে ঘন ঘন রোগ বাসা বাঁধে, তখন মিষ্টি আলুই হতে পারে প্রাকৃতিক ওষুধ।
হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি
হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন? ঘন ঘন অ্যান্টাসিড না খেয়ে মিষ্টি আলুতে ভরসা রাখুন। হজমের সমস্যা মোকাবিলা করার প্রাকৃতিক উপায় এটি। মিষ্টি আলু ডায়েটারি ফাইবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ডায়েটারি ফাইবার হজমের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
আলু খেলে ওজন বাড়ে এ কথা সবার জানা। কিন্তু ওজন কমাতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। এই খাবারটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এর ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। আর তাই মিষ্টি আলু খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে ক্ষতিকর বা অতিরিক্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখা সহজ হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণের মিশনে থাকলে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন মিষ্টি আলু। সেদ্ধ করে কিংবা পুড়িয়ে খেতে পারেন এটি। ধনেপাতা, জিরা গোলমরিচের মতো কিছু ভেষজ ও মসলা মিশিয়েও খেতে পারেন পুষ্টিকর খাবারটি।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: