প্রোবায়োটিক না প্রিবায়োটিক, গরমে পেট ভালো রাখতে কোনটি খাবেন?
প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫ ১১:২৮
আপডেট:
১২ মে ২০২৫ ০৫:০০

প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই প্রোবায়োটিক রাখতে বলছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। সেই সঙ্গে আরও একটি নামও উঠে এসেছে তা হলো প্রিবায়োটিক। অনেকেই দুটিকে এক ভেবে গুলিয়ে ফেলেন। তবে এ দুই খাবারই গরমে খেলে পেট ভালো রাখে। নানান অসুখ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। আসলে প্রোবায়োটিক- প্রিবায়োটিক কী? চলুন জেনে নিই—
শরীরে যেমন খারাপ ব্যাক্টেরিয়া আছে, তেমনই উপকারী ব্যাক্টেরিয়াও আছে। প্রোবায়োটিক হলো এমন কিছু জৈব পদার্থ, যা শরীরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। ভালো ব্যাক্টেরিয়া খাদ্য বিপাকে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন যে সব খাবার খাওয়া হয়, তার মাধ্যমে অনেক রাসায়নিক ঢোকে শরীরে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে আমাদের অন্ত্রে খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ে। এই খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলো নষ্ট করার জন্যই প্রয়োজন প্রোবায়োটিক।
প্রিবায়োটিক হলো এক ধরনের ফাইবার জাতীয় উপাদান। এটি হজম হয় না, তবে অন্ত্রে ভালো ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিক না প্রিবায়োটিক, কোনটি খাবেন?
প্রোবায়োটিকের সঙ্গে প্রিবায়োটিক মিলিয়ে খেলেই উপকার বেশি, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা। টক দই প্রোবায়োটিকের সব চেয়ে ভালো উৎস। প্রতিদিন টক দই খেলে উপকার হবে। এটি দিয়ে লাচ্ছি বা ঘোল বানিয়েও খাওয়া যায়। কয়েক ধরনের চিজেও প্রোবায়োটিক থাকে। আবার ইডলি, দোসা, দই, আচার, ঘোলের মতো খাবারে প্রোবায়োটিক পাওয়া যাবে।
এবার আসা যাক প্রিবায়োটিকের কথায়। দইয়ের সঙ্গে ওটস মিশিয়ে খেলে উপকার হবে। এই ওটসে প্রিবায়োটিক রয়েছে। কলার মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। এটিও প্রিবায়োটিক। দই ও ওটসের সঙ্গে কলা মেশালে পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। কাঁচা রসুনের মধ্যে ১৭.৫ শতাংশ প্রিবায়োটিক থাকে। প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে রসুনের কোয়া খেতে বলা হয়। রান্নায় রসুন দিয়ে খেলে কিন্তু হবে না।
প্রোবায়োটিকের সঙ্গে প্রিবায়োটিক মিলে গেলে অন্ত্রের উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলো আরও পরিপুষ্ট হয়। ফলে হজমপক্রিয়া আরও উন্নত হতে পারে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: