সোমবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৫, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


ব্যবসায়ীদের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সর্তক হতে হবে


প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২২ ০০:২০

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৯

ছবি সংগৃহিত

মোটা অংকের টাকা লেনদেনে ব্যবসায়ীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ছিনতাইকারী অথবা ডাকাত চক্রের সোর্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও টাকা লেনদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সর্তক হতে হবে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ১৩ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী কেরামত আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দড়িগাঁও বাজারে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাগে করে নগদ ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে পিকআপ যোগে আব্দুল্লাহপুরের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত ব্যবসায়ী কেরামত আলীর গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেরামত আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ঘটনায় ঢাকা জেলা পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই'র পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছিল ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।

ওই ঘটনায় গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার সাভার থানার কাউন্দিয়া, পটুয়াখালী সদর থানা ও ঢাকা মহানগরীর কাজলা এলাকা থেকে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন সোহাগ মাঝি, মো. দেলোয়ার, মো. জয়নাল হোসেন, মো. সোহেল, মো. জনি এবং মো. আজিজ।

এ সময়ে তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ লাখ টাকা, একটি হায়েস মাইক্রোবাস এবং একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তাররা ডাকাতি করার জন্য বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ডিবি পুলিশ, সিআইডি, র‌্যাবের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান করে। ব্যবসায়ীসহ আর্থিক লেনদেনকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে।

যেসব জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই এরকম নিরিবিলি জায়গায় সুযোগ বুঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের গতিরোধ করে। এরপরে ভুক্তভোগীদের নামে মামলা অথবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে টাকার ব্যাগসহ গাড়িতে তুলে নেয়। ডাকাতরা তাদের সুবিধামতো জায়গায় টাকা অথবা মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে নির্জন এলাকা, রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ডাকাতির আগে তারা ঘটনাস্থল রেকি করার কাজে মোটর সাইকেল এবং ভুক্তভোগীর গতিরোধ করে ডাকাতি করার কাজে মাইক্রোবাস ব্যবহার করে থাকে। ডাকাতির কাজে তারা হ্যান্ডকাপ, ওয়্যারলেস ও খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।


সম্পর্কিত বিষয়:

ডিএমপি

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top