মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


বাঙালিদের সিনেমা তৈরির উদ্যোগ বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন


প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২৩ ০৭:০১

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ১৬:১২

ছবি সংগৃহিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানের সময় বাঙালিরা সিনেমা করতে পারে বা করতে পারবে, এটা পাকিস্তানিরা সব সময় অবহেলার চোখে দেখতো। ১৯৫৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সুযোগ পায়, হোসেন সোহরাওয়ার্দী তখন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য। তখন বাঙালিরা যেন সিনেমা তৈরি করতে পারে বঙ্গবন্ধু সেই উদ্যোগটা নিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে ১৯৫৭ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদে আমাদের এই বাংলাদেশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন বিল, এই আইনটি পাশ করেন বঙ্গবন্ধু। তার উদ্যোগে আইনটি পাশ হয়। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংস্থা, বিশেষ করে এফডিসির কাজ শুরু হয়। সেখানে সিনেমা নিমার্ণও শুরু হয়েছিল।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের সিনেমা হলগুলো এনালগ, অত্যন্ত পুরানো। আমাদের যারা মালিক তাদের সঙ্গে বহু বার বসেছি, তাদেরকে বহু বার অনুরোধ করেছি, আপনারা এগুলোকে আধুনিক করে ফেলেন। এটা করার দরকার ছিল।

এবার আমরা ১ হাজার কোটি টাকার আলাদা ফান্ড রেখে দিয়েছি। সেখান থেকে যে কেউ প্রাথমিকভাবে অল্প সুদে ১০ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে।

জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যেন সিনেমা হল হয়, বিশেষ করে নতুনভাবে সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলেন। একসময় আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষ সিনেমা হল বিমুখ হয়ে গিয়েছিল। এখন কিন্তু আবার ফিরে আসছে

মানুষ সিনেমা হলমুখী হচ্ছে। সেই রকম বই পেলে মানুষ যায়, তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি। আমাদের কয়েকটি ভালো সিনেমা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের শিল্পীরা যখন কাজ করেন তখন খুবই নাম ডাক থাকে, কিন্তু এক সময় খুবই বাজে অবস্থায় পড়ে যায়। এটা আরো বেশি নজরে এসেছে এই করোনাকালীন সময়ে। অনেকেই কোনো কাজই পেতেন না। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ পাশ করে দিয়েছি। চলচ্চিত্রের সাথে যারা সম্পৃক্ত, আমাদের যন্ত্রশিল্পী, কলাকুশলী, মঞ্চসজ্জা থেকে শুরু করে যারা আছেন তাদের সকলকে নিয়েই এই ট্রাস্টটা করা। এটার একটা সীল মানিও দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছে, তারাও এখানে অনুদান দিতে পারে। শিল্পীরাও যে যা অর্জন করেন কিছুটা দিয়ে রাখলে পরে আগামী দিনে যারা কাজ করবে তাদের জন্যও কাজ করবে। আপনাদের জন্যও ভালো হবে। ট্রাস্টে যারা অনুদান দিবে সেই তালিকাটা যেন থাকে, তাহলে দেখতে পারবে কে কতটুকু সহযোগিতা করল। আমার পক্ষ থেকে আমি করে যাচ্ছি।

চলচ্চিত্র নিমার্ণের ক্ষেত্রে কিছু অনুদান দেওয়া হয় জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, করোনাকালীন সময়ে অর্থনীতিক মন্দা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি দারুণভাবে বেড়ে গেছে। সেখানে আমরা যে পরিমাণ অনুদান দিচ্ছি, সেটা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাণ বা যেটাই করি সেটা কিন্তু যথেষ্ট না। এটা একটু বাড়াতে হবে।

আগামী বাজেটে নিজেও একটা উদ্যোগ নেব অনুদানের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেওয়ার। ২৫ লাখ টাকা একটা পূর্ণাঙ্গ সিনেমার জন্য কিছু না, এটা দিয়ে কোনো কাজই হবে না। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য মাত্র ২০ লাখ টাকা, এটা হয় না।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০২১ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন হাসানুল হক ইনু (এমপি)।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top