জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞানে সীমিত পরিসরে আউটডোর সেবা চালু
প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৫ ১৩:০৩
আপডেট:
১৩ জুন ২০২৫ ১৪:৪৮

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধের ১৬তম দিনে সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করেছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল থেকে হাসপাতালের আউটডোরে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। একইসঙ্গে সীমিত পরিসরে তিন দিন ধরে চালু রয়েছে জরুরি বিভাগ। তবে হাসপাতালের ইনডোর সেবা বন্ধ রয়েছে। যা আগামী শনিবার (১৪ জুন) থেকে পুরোদমে হাসপাতাল চালুর পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, আগামী শনিবার থেকে হাসপাতাল পুরোদমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করি, এরমধ্যে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা চলছে। আমরা রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, আমাদের মধ্যে ভয় কাজ করে। এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই, আগে একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা রোগীদের সেবা দিতে চাই, রোগীরাও আসছেন। কিন্তু জুলাই আহত যারা হাসপাতালে রয়েছে তারা খুবই উগ্র; যেকোনো সময় চিকিৎসক-নার্সদের গায়ে হাত দিতে পারে। এজন্য আমরা শঙ্কাবোধ করছি।
এর আগে, গত ২৮ মে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন জুলাই আন্দোলনের আহতরা। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ ১৫ জন আহত হন। এরপর আতঙ্কে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের বেশিরভাগ দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে যান। তাদের কেউ কেউ ভেতরে আটকা পড়লে সেনাসদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
এরপর থেকে নিরাপত্তা শঙ্কায় কেউ হাসপাতালে আসছিলেন না। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম। কার্যত ওইদিন থেকে পুরো হাসপাতাল জুলাই আহতদের দখলে চলে যায়। সেখানে এখন শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করছেন। অন্তর্বর্তী সরকার রুটিনমাফিক তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: