ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সর্বসাধারণের সহযোগিতা চাইল রেলওয়ে
প্রকাশিত:
৪ আগস্ট ২০২৫ ১৭:০৬
আপডেট:
৪ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১৭

রেলপথে দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন রুটে কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় বলছে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এসব দুর্ঘটনায় বড় ধরনের প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সহযোগিতা চাওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব ঘটনার পেছনে রেল সংশ্লিষ্টদের বাইরে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাশকতামূলক তৎপরতা রয়েছে।
আরও বলা হয়, গতকাল ৩ আগস্ট রাতে নাটোরের মাধনগর এলাকায় এমন একটি নাশকতার চেষ্টার ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে রেললাইনে শিকল পেঁচিয়ে তালা লাগানো হয়, যাতে চলন্ত ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তবে রেলওয়ের একজন লোকাল কি-ম্যান বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে শিকল অপসারণ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি ছিল পরিকল্পিতভাবে বড় দুর্ঘটনা ঘটানোর প্রচেষ্টা। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র রেলওয়ে কিংবা সরকারের একার পক্ষে মোকাবিলা করা কঠিন। এজন্য দরকার জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতা। দেশের যেকোনো স্থানে রেললাইন ও এর আশপাশে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে, অথবা কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে তাৎক্ষণিকভাবে রেল কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ উদ্দেশ্যে রেলওয়ের হটলাইন ১৩১ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ (টোল ফ্রি)-এ ফোন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে, তথ্যদাতার পরিচয় সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করে রাখা হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: