৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের ৯ দাবি, পরীক্ষা চায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে
প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০২৫ ১৭:১৬
আপডেট:
১১ আগস্ট ২০২৫ ২১:০৮

অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের অধীনে পরীক্ষা নেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে হবে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে এবং তা পরিচালনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও খাতা মূল্যায়নের দায়িত্বও নিতে হবে সাত কলেজের শিক্ষককে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেখানে একজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রেজিস্ট্রারের থাকার কথা। কিন্তু নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ইউজিসি লোকবল নিয়োগের জন্য বাজেট দেওয়ার কথাও বলেছে, কিন্তু প্রশাসন ইচ্ছা করেই নিয়োগ দেয়নি।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি হলো—
১. অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের অধীনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ।
২. রেজিস্ট্রেশনের সব টাকা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে জমা।
৩. নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা গ্রহণ।
৪. প্রশ্ন প্রস্তুতি ও খাতা মূল্যায়ন সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা সম্পন্ন।
৫. ৪০ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশ, নন-প্রমোটেড শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূরক পরীক্ষা ও সিজিপিএ শর্ত বাতিল।
৬. উপাচার্য নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের সব তথ্য হস্তান্তর।
৭. দাবিগুলো মেনে নিলেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সম্মতি।
৮. বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত সব তথ্য ও নির্দেশনা কেবল অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ।
৯. অধ্যাদেশ জারির পর সব শিক্ষার্থীর তথ্য নিজস্ব সার্ভারে স্থানান্তর ও নির্ধারিত ডিজাইনের আইডি কার্ড প্রদান।
অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে বলেন, আমার কর্তৃপক্ষ ইউজিসি। ইউজিসিকে জানালে সরাসরি সিদ্ধান্ত নেবে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মের বাইরে যাবে না।
পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এরা যদি পরীক্ষা না দেয়, ৮ মাস পিছিয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারির আগে কিছুই হবে না। অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার জায়গা নেই। আমি রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে পরীক্ষা দিতে বলেছি। ফি কমানোর যৌক্তিকতা থাকলে অবশ্যই কমবে।
নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোথাও পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন হয় না। যখন নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তখন ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিপক্ষ হয়ে যাবে। হঠাৎ করে সিস্টেম ভেঙে দিলে কেউ পরীক্ষা নিতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয় সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। কলেজগুলো হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: