14378

04/28/2025 দুদকের মামলায় জিকে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

দুদকের মামলায় জিকে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

আদালত প্রতিবেদক

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:১৩

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

এদিন কোন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। এজন্য দুদক সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

এদিন জিকে শামীম আদালতে হাজির থাকলেও পলাতক ছিলেন তার মা।

এর আগে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। যার মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

এজাহার থেকে জানা যায়, জিকে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

এছাড়া শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার করা নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ছাড়াও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

অনুসন্ধানে শামীমের মায়েরও বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলাটি দায়ের করেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]