15007

05/13/2025 বাসে ই-টিকিটিংয়ের বাস্তবায়ন দেখতে সড়কে এনায়েত উল্যাহ

বাসে ই-টিকিটিংয়ের বাস্তবায়ন দেখতে সড়কে এনায়েত উল্যাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ মার্চ ২০২৩ ০১:৪২

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ৫৯টি বাস কোম্পানির ৩ হাজার ৩০৭টি বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বাস যাত্রীদের নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজেই রাস্তায় নেমেছিলেন বিভিন্ন বাসের ই-টিকিটিং প্রক্রিয়া দেখতে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ ও স্বস্তি দুটোই তিনি একসঙ্গে দেখেছেন।

রোববার (৫ মার্চ) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে আসেন তিনি। এছাড়া সকাল থেকে সেখানে সবকিছু দেখভাল করছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে দশটায় মানিক মিয়া এভিনিউতে আদালত বসান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল। পুলিশের সহায়তায় তিনি বিভিন্ন বাস দাঁড় করিয়ে চেক করেন ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস না থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে দুটি বাসের বিরুদ্ধে মামলা দেন। এতে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া বাকিদের সতর্ক করে ছেড়ে দেন।

পরবর্তীতে দুপুর ১২টার কিছু সময় পর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আসেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। এসময় তিনি বেশ কয়েকটি বাসে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে ই-টিকিটিং বিষয়ে কথা বলেন। তার ওঠা বেশ কয়েকটি বাসে যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে দু-একটি বাসে যাত্রীরা টিকিটিংয়ের টিকেট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগও করেন। এসময় তিনি সঙ্গে থাকা ওই পরিবহনগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন ও বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।

অভিযোগকালে ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, ই-টিকিটিং বিষয়ে স্টপেজ জটিলতা আছে। এছাড়া অনেক সময় কন্ডাকটররা টিকেট দিতে চান না।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আপনারা টিকেট ছাড়া কেউ ভাড়া দেবেন না। প্রয়োজনে ওই পরিবহন কোম্পানির এমডিকে কল করে বিষয়টি জানাবেন।

পরে সাংবাদিকদের খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা কিছু কিছু বাসে অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা সেই বাস মালিকদের ডেকে কথা বলছি। অনেকদিন পর এই সিস্টেমটা চালু করা হয়েছে, তাই স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। মালিক পরিবহন সমিতির টিম কাজ করছে, আমি নিজে মাঠে থেকে কাজ করছি। এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় ওপেন ১৯ জন চেকার কাজ করছে। এখানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমি বাসে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা ই-টিকিটিংয়ের বিষয়ে খুবই খুশি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ করা। আশা করি আমরা এটা বাস্তবায়ন করতে পারব।

সিগন্যাল দেওয়ার পরও বিকাশ পরিবহনের একটি বাস না থামানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে পরিবহনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই পরিবহনের এমডি এখানে আছে। তাকে আমি মৌখিক ও লিখিতভাবে বলেছি। যদি ঠিক না হয়, তবে রোডে তাদের গাড়ি চলাচল আমরা বন্ধ করে দেব। ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এই জায়গায় আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবো।

বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত-৮) সমর কুমার পাল বলেন, নিয়মিত অভিযানে আমরা সবকিছুই দেখছি। তবে আজ বাসে ই-টিকিটিংয়ের বিষয়ে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা ই-টিকিটিংয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তারা যেন ভাড়া দিয়ে টিকিট ঠিকঠাক বুঝে নেয়, সেই বিষয়টি বলা হয়েছে। অনেক সময় ভাড়া নিয়ে কন্ডাকটররা টিকিট দিতে চায় না। আমরা যাত্রীদের বলার চেষ্টা করেছি, তারা যেন টিকিট দিতে কন্ডাকটরকে বাধ্য করে। তাহলে এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং এই সিস্টেমটা দাঁড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, যেহেতু ই-টিকিটিং নতুন একটা বিষয়, কিছু অসঙ্গতি আছে ‌। এটা স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে। আমরা আজ এ বিষয়ে কোনো জরিমানা করিনি। তবে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]