পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস, আমাদের অর্জনের মাস। তাই স্বাধীনতার এই মাসে আমাদের সবাইকে দৃঢ় শপথ নিতে হবে দেশের বন-জঙ্গল রক্ষায়।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বন দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। (২১ শে মার্চ).
বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বন বিভাগ নতুন অনেক বন সৃষ্টি করেছে। সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও উচিত খালি ও পতিত জায়গায় গাছ লাগানো। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বন রক্ষায় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, 'সবার সুস্থ জীবনের স্বার্থে বন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গাছের অবদান অপরিসীম। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বনের গুরুত্ব স্বীকার করে, প্রাচীনকাল থেকেই অসুস্থদের বায়ু পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাই আমাদের সবাইকে গাছ লাগাতে হবে এবং বন রক্ষা করতে হবে।
বনভূমি দখল রোধে দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বনরক্ষীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণে সচেতনতা বাড়াতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান প্রমুখ।
আইইউসিএন এশিয়া অঞ্চলের সাবেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও সামাজিক বন শাখার উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান। বিষয়টি উপস্থাপন করেন আরণ্যক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এজেডএম মনজুর রশিদ ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক মোঃ জাহিদুল কবির।
অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে ৩১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এছাড়াও এই দিনটি উদযাপনের জন্য চিত্রকর্ম এবং বন্য প্রাণীর প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।