1577

04/25/2025 এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পূজা চেরি

এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পূজা চেরি

বিনোদন ডেস্ক

৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৬

নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ওজন কমাতে হবে, এই দুশ্চিন্তা পূজার নেই। ফুচকা আর আইসক্রিম ছাড়া তেমন আর কোনো খাবার তাঁকে আকর্ষণ করে না। পরিমাণমতো খাওয়া আর যোগব্যায়াম করে শরীরটাকে ফিট রাখেন সারা বছর। তবে এখন এক দুশ্চিন্তা এসে দাঁড়িয়েছে পূজা চেরির সামনে। হঠাৎ যদি পরীক্ষার খবর আসে!

সিদ্ধেশ্বরী কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পূজা। ভাবছেন, এক্ষুনি যদি চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে বলা হয়, বিপদে পড়ে যাবেন তিনি। লকডাউনে কি তবে পড়ালেখা করেননি তিনি? পূজা বললেন, ‘যতই পড়ালেখা করি না কেন, পরীক্ষার আগের রাতে আমাকে পড়তেই হয়। নয়তো পরীক্ষার হলে গিয়ে কিচ্ছু মনে পড়বে না।’ পূজার ফোনের ভেতর এখন নতুন ছবি ‘হৃদিতা’র চিত্রনাট্য। ক্ষণে ক্ষণে সেটাই খুলে খুলে পড়ছেন তিনি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হৃদিতার সংলাপগুলো বলার চেষ্টা করছেন। এই আয়নায় সারা বছর তাঁকে নানাভাবে সাহায্য করে। পূজা জানান, শুটিং না থাকলে হয়তো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয় না। কিন্তু এই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভারী মনে হলে খারাপ লাগে তাঁর। তাই ব্যায়াম আর পরিমিত খাবারে অভ্যস্ত তিনি।

চুক্তি সই করার পরদিনই ‘হৃদিতা’ উপন্যাসটি সংগ্রহ করেছেন পূজা। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় ডিরেক্টরকে অনুরোধ করি, শুটিংয়ের আগে অন্তত দুদিন যেন কো–আর্টিস্টের সঙ্গে মহড়া করতে দেন। এখন পর্যন্ত যে কজন ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করেছি, সবাই আমাকে সুযোগটি দিয়েছেন। আর শুটিংয়ের আগে অনেককেই দেখেছি, ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আমি প্রতিদিন ইয়োগা করি, ব্যায়াম করি। এটা আমার জন্য আয়োজন করে করার মতো কোনো কাজ না। যখন আমি বসে থাকি, হাতে ছবির কাজ থাকে না, তখন যদি আয়নার সামনে দাঁড়াই, নিজেকে মোটা লাগে, তখন মনটা খুব খারাপ লাগে। শুটিংয়ের আগে আসলে ওজন কমানো খুব কঠিন কাজ।’

খাবারের বিষয়ে ভীষণ সবাধান পূজা বলেন, ‘আমি খেতে খুব পছন্দ করি না। ভারী খাবার তো একদমই না। এই যে এখন বাসায় আছি, প্রায় ৬ মাসের মতো ভাত খাচ্ছি না। কেবল চিকেন আর ভেজিটেবল। ফাস্ট ফুড, হেভি ফুড খেয়ে ব্যায়াম করে লাভ কী?’

অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি শুরু হবে ‘হৃদিতা’ ছবির শুটিং। সেই প্রস্তুতি চলছে ছবির হৃদিতা পূজা চেরির। এই ঘরবন্দী সময়ে নিজের খুব যত্ন নিচ্ছেন তিনি। নিজের অজান্তেই চলে যাচ্ছেন বেসিনের কাছে হাত ধোওয়ার জন্য। রূপচর্চা, ওজন কমানো, পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি চলছে পড়াশোনা। তিনি জানান, ‘বাসার কাজে মাকে সহযোগিতাও করছি। মায়ের থেকে বেশ কিছু রান্নাও শিখেছি।’

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]