17712

05/15/2025 গুলশানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ফুটপাত দখল করা দোকান

গুলশানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ফুটপাত দখল করা দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন ২০২৩ ১৭:৫৮

গুলশান লেক পাড়ে ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সাধারণ পথচারীর নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতেই এই অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশান লেক পাড়ে (মানারাত) সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযানে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে অবৈধ দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দোকানের ভাঙা অংশগুলো সিটি করপোরেশনের ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অভিযান পরিচালনায় ডিএনসিসির কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন।

অভিযানে অংশ নেওয়া ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পথচারীর চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানগুলো আমরা উচ্ছেদ করছি। এই অভিযানে মাধ্যমে ফুটপাত এবং সড়কের দোকানগুলো ভেঙে দিয়ে আমরা সাধারণ পথচারী নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করব। পাশাপাশি এখানে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে এসব খাবারের দোকান গড়ে উঠায় এখানে যানজট সৃষ্টি হতো।

এদিকে অভিযান শুরুর পর সড়কের উত্তর দিকের দোকানিরা তাদের অস্থায়ী দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে একজন চায়ের দোকানদার শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের আগে কিছুই বলা হয়নি, হঠাৎ করে এসেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কারণে আমরা আমাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছি। আমাদের আগে থেকে জানালে আমরা আগেই সরিয়ে নিতে পারতাম।

অন্যদিকে এখানকার অভিযান পরিচালনা করতে দেখে পথচারী মাসুদুর রহমান বলেন, গুলশান ২ নম্বরে আমার অফিস, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাচল করি। প্রতিদিন যাতায়াতের সময় এখানে খুব যানজট দেখা যায়। পাশাপাশি এখানে ১০/১৫ টি খাবারের দোকান আছে যারা সড়ক ও ফুটপাত দখল করে দোকান করেছে। তারা ফুটপাতে টুল বসিয়ে রেখেছে, মানুষ ফুটপাতে রাখা টুলে বসে খাবার খায়। যে কারণে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়াও যায় না ঠিকমতো। সিটি করপোরেশনের অভিযানের কারণে আমরা পথচারীরা খুশি, আশা করছি এই অভিযানের পর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা যাবে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]