20922

04/25/2025 আদালতের আদেশ অমান্য: সুরক্ষা সচিব ও আইজি প্রিজন্স আপিল বিভাগে

আদালতের আদেশ অমান্য: সুরক্ষা সচিব ও আইজি প্রিজন্স আপিল বিভাগে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:০৯

সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার কারণ ব্যাখ্যা করতে আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের একজন সচিব ও আইজি প্রিজন্স।

তারা হলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া নয়টার দিকে তারা আপিল বিভাগে প্রবেশ করেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে আদালতের আদেশ অমান্য করায় গত ২০ নভেম্বর এই দুইজনকে তলব করে আপিল বিভাগ। ৪ ডিসেম্বর হাজির হয়ে ছয় কারা কর্মকর্তার পদোন্নতি সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় তাদের।

আদালত অবমাননার অভিযোগে করা পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা পৃথক পাঁচটি আবেদন শুনানির জন্য ৪ ডিসেম্বর দিন রাখেন আদালত।

জানা যায়, পদোন্নতি নিয়ে ছয় কারা কর্মকর্তার (জেল সুপার) করা পুনর্বিবেচনার আবেদনের (রিভিউ) ওপর গত বছরের ২২ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে ১৯৮৪ সালের অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফ (ডিপার্টমেন্ট অব প্রিজন্স) রিক্রুটমেন্ট বিধিমালার আলোকে দ্রুত আবেদনকারীদের (ছয় জেল সুপার, চলতি দায়িত্ব) পদোন্নতির বিষয়টি বিবেচনা করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে পদোন্নতিপ্রত্যাশী মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়াসহ পাঁচ কর্মকর্তা গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পৃথক পাঁচটি আদালত অবমাননার আবেদন করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইব্রাহীম খলিল। অন্যদিকে, কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সফিকুল ইসলাম।

সেদিন ইব্রাহীম খলিল জানিয়েছিলেন, আদালত অবমাননার আবেদনগুলো গত ৬ নভেম্বর আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। ওই দিন কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী রায় বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহ সময় নেন। সে অনুযায়ী ২০ নভেম্বর ফের শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় আসে। শুনানিতে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির ১৬ নভেম্বরের এক সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী। ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, ছয় কর্মকর্তাকে ১৯৮৪ সালের নিয়োগবিধির আওতায় এ পর্যায়ে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ বলে মন্তব্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতির রায় কেন বাস্তবায়িত হয়নি, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে ৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

আদালত সূত্র জানায়, আবেদনকারী ছয় কর্মকর্তা ২০০৮ সালে জেল সুপারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন। পদোন্নতির জন্য ২০১৬ সালে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বিফল হন। এ নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তাদের পক্ষে রায় পান; কিন্তু এর বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল ট্রাইব্যুনালে গেলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]