21657

04/25/2025 ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়ে বিপাকে পাকিস্তান

ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়ে বিপাকে পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:০১

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তান সবশেষ টেস্ট জিতেছে ১৯৯৫ সালে। জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও একাধিকবার তারা ব্যর্থ হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অজিদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার নজিরও নেই পাকিস্তানের জন্য। সেই সুযোগটা অবশ্য এসেছিল বক্সিং ডে টেস্টে। মেলবোর্নে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ইনিংসেই অজিদের ৩১৮ রানে আটকে ফেলে পাকিস্তান। দরকার ছিল ভালো ব্যাটিংয়ের।

কাজটা শুরুতে ঠিকই ছিল পাকিস্তানের জন্য। আবদুল্লাহ শফিক আর ইমাম উল হকের উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছিল ৩৪ রান। দুজন দেখেশুনে পার করেছেন ১ ঘণ্টার বেশি সময়। নাথান লায়ন নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান ইমামকে। স্লিপে ক্যাচ নিয়েছেন মার্নাস ল্যাবুশেন।

পাকিস্তানকে আশা দেখিয়েছেন শফিক এবং অধিনায়ক শান মাসুদের জুটি। দুজন মিলে যোগ করেছেন ৯০ রান। শফিক পেয়েছেন ফিফটির দেখা। শান মাসুদও ছিলেন রানের ছন্দে। তবে প্যাট কামিন্সের বলে স্ট্রেইট ডাইভ করতে গিয়ে কট এন্ড বোল্ডের শিকার হন তিনি। শেষ হয় ৬২ রানের কার্যকরী ইনিংস।

এরপরেই যেন ধস নামে পাকিস্তানের ইনিংসে। স্কোরবোর্ডে আর ৭ রান যোগ করতেই ফিরে যান বাবর আজম। কামিন্সের ইনসুইংয়ে পুরোপুরি বিভ্রান্ত ছিলের সদ্য সাবেক হয়ে পড়া এই ব্যাটার। ২০২৩ সালে টেস্ট ফরম্যাটে বাজে পারফর্ম থেকে হয়ত বেরুতে পারছেন না তিনি।

টিকতে পারেননি শান মাসুদও। ৫৪ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকেও। লায়নের দ্বিতীয় শিকার পাকিস্তানের অধিনায়ক। এরপর সৌদ শাকিল আর সালমান আঘাও ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে। হ্যাজেলউড ফিরিয়েছেন শাকিলকে। আর সালমান হয়েছে কামিন্সের দিনের তৃতীয় শিকার। ১২৪ রানে ১ উইকেট থেকে পাকিস্তানের স্কোর হয় ১৭০ রানে ৬ উইকেট।

আমির জামালকে নিয়ে দিনের বাকি সময়ে আর কোন বিপদ হতে দেননি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি অপরাজিত আছেন ২৯ রানে। ২ রানে অপরাজিত থাকা জামালকে নিয়ে পরবর্তী দিন শুরু করবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কামিন্স শিকার করেছেন ৩ উইকেট। আর ২ উইকেট গিয়েছে লায়নের ঝুলিতে। ২য় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে আছে ১২৪ রানে।

এর আগে পাকিস্তানি বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রানের পাহাড় গড়তে পারেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্ন টেস্টে সফরকারী পেসাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই অজিরা অলআউট হয়েছে ৩১৮ রানে। টেস্টের সাপেক্ষে যা বেশ সহনীয় বলা চলে। আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন মার্নাস ল্যাবুশেন এবং ট্রাভিস হেড। সেখান থেকে অজিরা নিজেদের স্কোর টেনে নিয়ে গিয়েছে ৩১৮ পর্যন্ত।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]