31921

04/24/2025 ‘অস্থায়ী আবাসনে’র দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতীকী অনশন

‘অস্থায়ী আবাসনে’র দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতীকী অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪:৪৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোকে শতভাগ আবাসিক করার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতীকী অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নারী শিক্ষার্থী। তারা দাবি জানিয়েছেন, স্থায়ী আবাসন নির্মাণের পূর্ব পর্যন্ত তাদের জন্য “অস্থায়ী আবাসনে”র ব্যবস্থা করতে হবে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টায় অনশনে বসেন তারা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে “বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল” নির্মাণে উদ্যোগের বিষয়ে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইসরাত জাহান ইমু বলেন, “আপনারা একটি হলের বিষয়ে জানলেও আমরা দুটি হল নির্মাণের বিষয়ে জানি। কিন্তু কার্যপ্রণালি সম্পন্ন করে এগুলো নির্মাণ করতে চার-পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। তাহলে এখন যারা সিট পাইনি তারা কোথায় থাকবে!”

অবকাঠামো নির্মাণ একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটি উপেক্ষা করে তাৎক্ষণিক হল নির্মাণ করতে পারেন না। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা অবশ্যই ঠিক। কিন্তু যারা সিট পাইনি তারা এতদিন কোথায় থাকবে? আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের সিট না পাওয়াদের বৃত্তি দেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো একটি ভবন ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী করা সম্ভব না।”

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আমরা প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবনে আমাদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাজেট সংকটের কথা বলে। আমাদের দাবি, বৃত্তির টাকা দিয়ে কোথাও অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হোক। আর দ্রুতই হলের নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।”

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে কোনো না কোনো হলের সঙ্গে আবাসিক/অনাবাসিক হিসেবে যুক্ত থাকতে হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৪ টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৫ টি হল রয়েছে। এছাড়া চারুকলা অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা হোস্টেল এবং বিদেশি ছাত্রদের জন্য রয়েছে আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস। সিট সংকটের ফলে এসব হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেকেরও কম আবাসিক সুবিধা পেয়ে থাকেন।

# মির্জা সাইমা

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]