বাংলাদেশের নির্বাচনী আকাশে মেঘের ঘনঘটা মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন থেকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলেও সব সংস্কারের সমাধান হবে না। তাই নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তা দ্রুত করে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সব সংস্কার করতে বর্তমান সরকারের তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে। এই তিন থেকে পাঁচ বছর কি আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন? আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) নির্বাচন করার জন্য যে সংস্কার তা শেষ করে অতি দ্রুত প্রস্থান করুন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তা দ্রুত শেষে করে নির্বাচন দিন। বাকি যে সংস্কারের প্রয়োজন হবে তা নির্বাচিত সরকার এসে করবে। দেশের জনগণের আরো অনেক দাবি-দাওয়াও তখন আসতে পারে। সেগুলো আমলে নিয়ে তা সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুন অর রশীদ বলেন, গত ৫ আগস্ট বিপ্লবের ফলে স্বৈরাচারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় বসে। এ সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ক্ষমতায় এসে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি তারা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদেরকে রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন দিতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান টিপু প্রমুখ।