35717

04/28/2025 পিছিয়ে পড়ছে চামড়া খাত, রাজস্ব কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার

পিছিয়ে পড়ছে চামড়া খাত, রাজস্ব কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৪

প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে চামড়া শিল্প খাত। অন্যান্য শিল্পে যখন উন্নয়নের গতি তখন আর্থিক ক্ষতির মুখে এই খাত। গত এক যুগে চামড়া খাতে রাজস্ব আয় কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার।

২০১২ সালে চামড়া খাতে রাজস্ব ছিল ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি ডলারে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব চামড়াশিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সাভারের হরিণধরায় চামড়াশিল্প নগরে ‘ওয়ার্ল্ড লেদার ডে ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ তথ্য জানান।

বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়াশিল্পের সংকট উত্তরণে শিল্প-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি। প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণ স্বাধীন নয়। বিসিক কর্মকর্তারা শিল্প মন্ত্রণালয় যেভাবে চালাচ্ছেন, সেভাবে চলছে। কলকাতায় চামড়াশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক হচ্ছে প্রধান স্টেকহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডার। কিন্তু বাংলাদেশে পুরোপুরি উল্টো। এটি ঠিক করতে হবে, অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। ট্যানারি মালিকদের শেয়ার বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে লেদার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশে চামড়া খাতের উন্নয়নে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। ২০ থেকে ৩০ বছর আগে যে ধরনের চামড়া প্রস্তুত হতো বাংলাদেশে, এখনো সেই ধরনের চামড়া তৈরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো উন্নয়ন নেই। ২০১২ সালে চামড়া খাতে রাজস্ব আয় ছিল ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২৪ সালে তা কমে ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। প্রতিযোগিতায় তারা পিছিয়ে যাচ্ছেন।

চামড়াজাত পণ্য ও জুতা উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির (এলএফএমইএবি) পরিচালক মুশফিকুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বে চামড়া বা ফুটওয়্যারের যে চাহিদা, সেই জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আমরা সব সময় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে খাত-সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কীভাবে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা যায়, সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাপেক্স ট্যানারির প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মাহমুদ খান, মার্সন ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম খান।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]