কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তান- এই দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে সপ্তাহখানিক ধরে চলছিল তীব্র উত্তেজনা। এরপর গত বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে একরকম আগুনে ঘি ঢালে ভারত; যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। আর সে ঘটনাই এবার পর্দায় আনতে যাচ্ছে বলিউড।
সীমান্তে খানিক উত্তেজনা হলেই যা পর্দায় চলে আসে, সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো বিষয় ভারত পর্দায় ফুটিয়ে তুলবে না, সেটি বলার বাকি রাখে না। ভারত-পাকিস্তানের এমন পাল্টাপাল্টি হামলা যে একদিন সিনে পর্দায় আসবে, তা অনুমেয় ছিল দর্শকদের কাছেও। অবশেষে দর্শকদের সেই প্রতিক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে হয়তো।
ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো যুদ্ধ, সংঘাত কিংবা দ্বন্দ্বের পরিণাম বা ফলাফল যেমনই হোক, সিনে পর্দায় দেখানো হয়েছে ভারতীয় সেনাদের সাফল্য, বীরত্ব। বলা বাহুল্য, ‘অপারেশন সিঁদুর’ সিনেপর্দায় আসলেও হয়তো ফুটে উঠবে এমনই কিছু।
তবে যে কথা সেই কাজ! পাকিস্তানে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দুদিনও হয়নি, এরই মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে বলিউডে সিনেমা নির্মাণের প্রস্তাবের হিড়িক পড়ে গেছে। বলা যায়, যুদ্ধক্ষেত্রকে পূঁজি করে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবসাসফল করা বলিউডের কাছে নতুন কিছু না। তাই তো পাকিস্তানের ওপর প্রত্যাঘাতের কাহিনি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে উদগ্রীব বলিউডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছে নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ শিরোনামটি নিবন্ধনের জন্য হিড়িক পড়ে গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে পাওয়া খবর, ইতোমধ্যে ১৮ টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
সূত্রের খবর, অশোক পণ্ডিত, মধুর ভাণ্ডারকরের মতো পরিচালক নাকি নাম রেজিস্টার করেছেন। আবার সেই তালিকায় রয়েছে টি-সিরিজ, জি স্টুডিওর মতো একাধিক প্রযোজনা সংস্থাও।
পরিচালক অশোক পণ্ডিত নাম নথিভুক্তিকরণ ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমি 'অপারেশন সিঁদুর শিরোনাম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। এই বিষয়ে কোনো চলচ্চিত্র তৈরি হবে কিনা তা এখনও পরের কথা, তবে চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং প্রযোজক হিসেবে আমরা প্রায়ই আকর্ষণীয় কিছু ঘটে যাওয়ার মুহূর্তে শিরোনাম নিবন্ধন করি। আর এটি প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ শিরোনাম ছাড়া আপনি একটি চলচ্চিত্র পরিকল্পনা শুরু করতে পারবেন না।’