364

04/25/2025 বরখাস্ত চিকিৎসকদের দাবি, করোনা রোগী দেখব না বলিনি

বরখাস্ত চিকিৎসকদের দাবি, করোনা রোগী দেখব না বলিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ এপ্রিল ২০২০ ০২:২৪

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল থেকে সাময়িক বরখাস্ত দুই চিকিৎসক বলেছেন, তারা কখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাননি। এই দুই চিকিৎসক হলেন কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মুহাম্মাদ ফজলুল হক এবং একই হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা) শারমিন হোসেন।

শনিবার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেহাব উদ্দিন। ওই দিনই সন্ধ্যায় অধিদপ্তর তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা দেয়। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে এই ছয় চিকিৎসক অনিচ্ছা দেখিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন।

শারমিন হোসেন রোববার ফেসবুক লাইভে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক স্যার আমাকে কোনো টেলিফোন না করে বা কোনো কিছু না জানিয়ে আমার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নাম পাঠিয়েছেন যে আমি নাকি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে ইচ্ছুক না। এমন কথা আমি মৌখিক বা লিখিতভাবে কখনো স্যারের কাছে অথবা কারও কাছে প্রকাশ করেছি বলে জানা নেই।

শারমিন বলেন, তিনি ১ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন। রাতের পালার কাজ সেরে বাসায় ফেরেন সকালে। এক দিন পর তিনি জানতে পারেন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শারমিন হোসেন তার হাজিরা খাতার অনুলিপি নিয়ে রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. বেলাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন বলেও ওই পোস্টে বলেন।

এ ছাড়া শনিবার রাতে একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডা.মুহাম্মদ ফজলুল হক। তিনি নিয়মিত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান। এই দুই চিকিৎসক বাদে আরও যে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের একজন আগেই ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। অন্য তিনজন হাসপাতালে আসছিলেন না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বেলাল হোসেন বলেন, রোববার শারমিন হোসেন তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি শারমিনকে তার বক্তব্য লিখিতভাবে স্বাস্থ্যসচিবকে জানাতে বলেছেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]