বাজারে এখন মিলছে পাকা কাঁঠাল। রসালো মিষ্টি স্বাদের এই ফল অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে কেউ কেউ গন্ধের কারণে কাঁঠাল খেতে চান না। কাঁঠাল পছন্দ করেন আর না করেন এর বীজ বা বিচি কম-বেশি সবাই পছন্দ করেন। তাই বছরজুড়ে এই বীজ সংরক্ষণ করতে চেষ্টা করেন।
কাঁঠালের বিচি টাটকা ও সতেজ রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন তার কিছু ঘরোয়া উপায়-
১. ভালোভাবে পরিষ্কার করুন:
প্রথমে কাঁঠালের বিচিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আঠালো অংশ বা খোসা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর একটি পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন যেন কোনো আর্দ্রতা না থাকে।
২. রোদে শুকানো পদ্ধতি:
কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও কার্যকর পদ্ধতি এটি। বিচিগুলো পরিষ্কার করে কড়া রোদে ২-৩ দিন শুকিয়ে নিন। বিচিগুলো মচমচে হয়ে গেলে বুঝবেন এটি সংরক্ষণ করার জন্য প্রস্তুত। রোদে শুকানো বিচি একটি বায়ু-নিরোধক পাত্রে রাখুন। এভাবে প্রায় ১ বছর পর্যন্ত কাঁঠালের বিচি ভালো থাকে।
৩. ফ্রিজে সংরক্ষণ:
দ্রুত কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করতে চাইলে বিচিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর একটি জিপলক ব্যাগে বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে ফ্রিজের সাধারণ চেম্বারে রাখুন। এভাবে প্রায় ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত কাঁঠালের বিচি ভালো থাকে। রান্নার আগে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে তা নরম হয়ে যাবে।
৪. ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ:
দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপ ফ্রিজ ব্যবহার করুন। বিচিগুলো পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। এরপর ছোট ছোট অংশে ভাগ করে জিপলক ব্যাগ বা ফ্রিজার-সেফ কন্টেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এভাবে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। ব্যবহারের আগে নরমাল চেম্বারে রেখে ডিফ্রস্ট করে নিন।
৫. বালিতে সংরক্ষণ (গ্রামাঞ্চলে জনপ্রিয়):
এটি একটি পুরনো এবং কার্যকর পদ্ধতি। গ্রামের দিকে এটি বেশি প্রচলিত। এজন্য বিচিগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর একটি বড় পাত্রে শুকনো বালি নিয়ে তার মধ্যে বিচিগুলো ডুবিয়ে রাখুন। বালি বিচির আর্দ্রতা শোষণ করে এগুলোকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখে।
৬. সেদ্ধ করে সংরক্ষণ:
বিচিগুলোকে পরিষ্কার করে হালকা সেদ্ধ করে নিন। এতে বিচিগুলোর এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ে। সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর জিপলক ব্যাগ বা এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এই পদ্ধতিতে বিচিগুলো আরও বেশি দিন ভালো থাকে এবং রান্নার সময় নরম হতেও কম সময় লাগে।