‘মব’ সৃষ্টি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাকে জুতার মালা পরিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (২৫ জুন) দিন ধার্য করেন।
আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরে সেটি মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে সোমবার (২৩ জুন) রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল হানিফকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরার বাসায় ঢুকে একদল লোক নূরুল হুদাকে বের করে আনে। জুতার মালা পরিয়ে তাকে হেনস্তা করে পুলিশে সোপর্দ করে। জুতা দিয়ে নূরুল হুদাকে আঘাত ও ডিম নিক্ষেপ করে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ২৪ জুন উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক সজীব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।
‘জনগণের ভোট ছাড়া’ নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে গত রোববার সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি।
মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কথিত জনতা উত্তরার বাসা থেকে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে আটক করে হেনস্তা করে।
আটকের সময় তারা নূরুল হুদার ওপর চড়াও হয়। বাসায় ঢুকে সাবেক সিইসিকে অপদস্থ করে। কেউ কেউ ফেইসবুকে লাইভও করেন।
এমন একটি ভিডিওতে দেখা যায় নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। তার গেঞ্জির কলার ধরে রেখে বক্তব্য দিতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। এসময় ওই ব্যক্তির পাশে পুলিশের পোশাক পরা একজনকে দেখা যায়।
পরে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সোমবার বিএনপির মামলায় নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এদিকে নূরুল হুদাকে অপদস্ত করার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ‘দায়ীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে বিবৃতি দেওয়া হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও।
ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সজীব হাসান মঙ্গলবার একটি মামলা করেন। এর আগে সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল উত্তরা এলাকা থেকে হানিফকে আটক করে।