হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহাররম। এর মাধ্যমে শুরু হয় হিজরি নববর্ষ। এই মাসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের পবিত্র চার মাসের একটি মুহাররম। একে আল্লাহর মাসও বলা হয়।
এই মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো আশুরার রোজা। ইসলাম এবং ইসলামপূর্ব সময় থেকেই আশুরা মুসলমানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আশুরায় আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী অনেক নবীকে বিপদ থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এই দিনে মহানবী (সা.) এর নাতি হুসাইন (রা.) শাহাদাত বরণ করেছেন।
মুহাররমের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ ও স্মরণীয় ঘটনা
১ মুহাররম : হজরত ওমর ইবন খাত্তাব (রা.)-এর শাহাদাত দিবস।
২ মুহাররম : হজরত হুসাইন ইবনে আলী (রা.) কারবালায় পৌঁছে তাঁবু গেড়েছিলেন।
৭ মুহাররম : হজরত হুসাইন (রা.) ও তার পরিবারকে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৮ মুহাররম : হযরত হুসাইন (রা.)-এর পুত্র হজরত জয়নুল আবেদীন (রা.)- এর শাহাদাত দিবস। তিনি কারবালার যুদ্ধ থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন।
১০ মুহাররম (আশুরা) : এই দিন হজরত আব্বাস (রা.)-এর শাহাদাতের পর ফোরাত নদীর তীরে হজরত হুসাইন (রা.) নিজেও শহীদ হন। এই দিনেই হজরত মূসা (আ.) ফেরাউন থেকে মুক্তি পান। হজরত নূহ (আ.) এর নৌকা জুদি নামক উপত্যকায় অবতরণ করে।
১০ মুহাররম : এই দিন কারবালার মর্মান্তিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। হুসাইন (রা.) শহিদ হন।
২০ মুহাররম : ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা.)-এর ইন্তেকাল করেন।
আশুরার দিন রোজা
এই মাসে রোজা রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মুহাররমের ১০ তারিখ রোজা রেখেছিলেন। এর সঙ্গে আগে ও পরের একদিন মিলিয়ে দুইদিন রোজ রাখতেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেভাবে গুরুত্বের সাথে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)
আশুরার রোজার ফজিলতের ব্যাপারে আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবী করিম সা: বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮)
সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন