নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া এলাকায় শোবার ঘর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া দম্পতি হলেন সোহাগ মিয়া (২৩) ও ঝুমা আক্তার (১৯)। সোহাগ উপজেলার চকলেঙ্গরা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। আর ঝুমা আক্তার কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, থানা-পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ মিয়া বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুরবাড়ি কুড়ালিয়াতে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সোহাগ ও ঝুমার মধ্যে কলহ চলছিল। গতকাল রাত নয়টার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সোহাগের শ্বশুর আবদুল কুদ্দুস দুজনকে শান্ত করেন। এরপর সোহাগ ও ঝুমা মেয়েকে নিয়ে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।
ওই দিন রাত দুইটার দিকে শিশুটি ঘুম থেকে কেঁদে উঠে মায়ের কাছে যেতে চাইলে কুদ্দুস সেখানে গিয়ে দেখেন, ঝুমা ও সোহাগের মরদেহ আড়ার সঙ্গে পৃথকভাবে ঝুলে আছে। পরে প্রতিবেশীদের তিনি বিষয়টি জানান। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। আজ সকালে পুলিশ এসে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা হতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। মরদেহ দুটির সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।
এসএন /সীমা