মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যে কোনো নতুন পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলে তা ধ্বংস করা হবে।
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস অথবা ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলোকে আবার কাজে লাগাতে বছরের পর বছর সময় লাগবে। ইরান যদি তা করতে চায়, তাহলে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তিনটি ভিন্ন স্থানে নতুন করে (হামলা) শুরু করা অনেক ভালো হবে।'
সূত্রের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, জুন মাসে মার্কিন হামলায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলোর মধ্যে মাত্র একটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। অন্য দুটি স্থাপনার অনেক কম ক্ষতি হয়েছে এবং কয়েক মাসের মধ্যে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
তবে হোয়াইট হাউস এই মূল্যায়ন প্রত্যাখ্যান করেছে। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি রয়টার্সকে বলেছেন, 'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।'
২৪ জুন সিএনএন রিপোর্ট করেছে, মার্কিন গোয়েন্দা সম্প্রদায় বিশ্বাস করে, ওয়াশিংটনের হামলা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদানগুলোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে।
একটি প্রাথমিক মার্কিন গোয়েন্দা তদন্তে দেখা গেছে, এই হামলা সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।
২৫ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ নতুন গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেন, ২১-২২ জুন রাতে আঘাত হানা ইরানের ফোরডো, নাতানজ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো 'নিশ্চিহ্ন' করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস আরও নিশ্চিত করেছে, ওয়াশিংটনের তথ্য অনুসারে, হামলার আগে ইরান এই স্থানগুলো থেকে পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল।
এসএন /সীমা