বান্দরবান নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। রোববার(২০ জু্লাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফেসবুক পোস্টে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
সারজিস বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজদের পাঠানোর জায়গা’ বলে মন্তব্য করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে উল্লেখ করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। রোববার দুপুরে বান্দরবান প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। সরাজিস ক্ষমা না চাইলে এনসিপির সব কার্যক্রম ‘সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সারজিস আলম লেখেন, সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দের রাঙামাটি থেকে... আমরা লড়াই করব সব জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে; জুলাই পদযাত্রা থেকে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি আরও লেখেন, বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এর আগে সারজিস বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজদের পাঠানোর জায়গা’ বলে মন্তব্য করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে উল্লেখ করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। রোববার দুপুরে বান্দরবান প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। সরাজিস ক্ষমা না চাইলে এনসিপির সব কার্যক্রম ‘সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি মাহির ইফতেখার, খালিদ বিন নজরুল, জুবায়ের ইসলাম, আসিফ ইসলাম প্রমুখ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ চলাকালে এক বক্তব্যে সারজিস বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ছাত্রনেতাদের ভাষ্য, এ মন্তব্য চরম নিন্দনীয় ও অবমাননাকর।
এটি শুধু বান্দরবানের নয়, গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের মর্যাদাকে হেয় করার শামিল। এটি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এসএন /সীমা