বগুড়ার শাজাহানপুরে হত্যাচেষ্টা মামলা প্রত্যাহার না করায় আল আমিন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা গুঁড়িয়ে হত্যা করেছে আসামিরা।
শনিবার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ২৮ জুলাই সকালে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামে হামলার শিকার হন আল আমিন।
রোববার সকালে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, আগের হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলা হয়ে যাবে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
নিহত আল আমিন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের নিউ মার্কেটে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম, আবু হোসেন ও ফজলুল হক দেড় বছর ধরে আল আমিনের দেড় একর কৃষি জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এর আগে তিনি ও তার পরিবার দুদফা হামলার শিকার হন। এ ব্যাপারে আল আমিন শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন। এতে আসামিরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।
স্বজনদের দাবি, তারা মামলা তুলে নেওয়াসহ আল আমিনের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।
এদিকে ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আল আমিন বাড়ি থেকে বের হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামিরা তাকে ধরে একটি বাঁশঝাঁড়ে নিয়ে যান। সেখানে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার হাত ও পা গুঁড়িয়ে দেন। তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তার বাবা আফসার আলীকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আল আমিনকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শনিবার রাত ১০টার দিকে আল আমিনের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে তার পরিবার ৩০ জুলাই শাজাহানপুর থানায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষরা ব্যবসায়ী আল আমিনকে রড দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছিল। শনিবার রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে চাঁদা দাবির অভিযোগটি সঠিক নয়। পরিবারের আগের মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হবে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।