গাজা উপত্যকায় একের পর এক ইসরাইলি হামলায় বৃহস্পতিবার দিনভর শিশুসহ অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাদের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিমে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলের শেখ রিদওয়ান এলাকায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় এক বৃদ্ধ ও দুই নারী নিহত হন। এতে আহত হন আরও কয়েকজন।
গাজার মধ্যাঞ্চলের পশ্চিম নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক ফ্ল্যাটে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাড়িতে গোলাবর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন। এতে বাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।
একই অঞ্চলের আল-মাওয়াসি এলাকায় উদ্বাস্তুদের জন্য স্থাপিত তাবুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় এক নারী ও তার শিশু সন্তান নিহত হন।
অন্যদিকে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ইসরাইলি গুলিতে পাঁচজন নিহত হন।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের দমন-পীড়নে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬১ হাজার ১০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুদ্ধের কারণে গাজার অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে এবং অঞ্চলটি চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় পরিচালিত যুদ্ধের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)।