41193

08/21/2025 মুম্বাইয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি!

মুম্বাইয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৪১

ভারতের বাণিজ্যনগরীর বাসিন্দারা এখন বানভাসি। ভয়াবহ বৃষ্টিতে কার্যত ডুবে গিয়েছে মুম্বাই। মহারাষ্ট্রের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় ৯৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় মুম্বাইয়ে।

উত্তর মুম্বইয়ের বেশ কিছু এলাকায় ১২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এমন বর্ষা এর আগে কখনও দেখেনি ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী।

তবে অনেক আবহাওয়াবীদ মনে করেন, শুধু মহারাষ্ট্র বলেই নয়, এমন নাগাড়ে বৃষ্টি ভারতের অন্য শহরগুলিও সেভাবে দেখেনি ২০০৫-এর আগে।

২০২৫ সালের মুম্বাইয়ের বৃষ্টি কোথাও যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০৫-এর ভয়াবহ মুম্বাইকে। অতিবর্ষণের কারণে ওই সময়ের মহারাষ্ট্র যেন পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে।

প্রাণ গিয়েছিল হাজারের বেশি, বেশ কিছু দিন ধরে বিপর্যস্ত ছিল মুম্বাইসহ একাধিক শহর।

প্রবল বৃষ্টির জেরে বানভাসি মুম্বাই। শুধু মায়ানগরই নয়, বিপর্যস্ত কোঙ্কন, মরাঠাওয়াড়াসহ পশ্চিম মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গা।

জলমগ্ন রাস্তা, ডুবে গিয়েছে শত শত যানবাহন। প্রবল বৃষ্টির জেরে ব্যাহত রেল থেকে বিমান পরিষেবা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে অন্তত দু’টি মোনোরেল মাঝপথে বিকল হয়ে যায়। দু’টি ট্রেন থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জনকে উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয়েছে প্রশাসনকে।

পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যায় তার জন্য মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, টানা চার দিন বৃষ্টির কারণে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

এ ছাড়াও, নান্দেড় জেলায় পাঁচ জন নিখোঁজ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় এবং রাজ্য মোকাবিলা বাহিনীর মোট ২৪টি দল কাজ করছে। প্রয়োজনে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

কোথাও যেন ২০২৫-এর বানভাসি মহারাষ্ট্রের ছবিতে ভেসে উঠছে ২০০৫-এর ছবি। দু’দশক আগে বাণিজ্যনগরীর বন্যা পরিস্থিতি এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। ব্যস্ত মহারাষ্ট্র থমকে গিয়েছিল বেশ কিছু দিনের জন্য।

২০০৫-এর ২৬ জুলাই! হঠাৎ করেই ঘন মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। শুরু হয় ব্রজসহ বৃষ্টি। প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন, প্রতি বছর যেমন বৃষ্টি হয় তেমনই হবে। প্রথম দিকে সাময়িক যানযন্ত্রণাও শুরু হতে থাকে। কিন্তু যত সময় পেরোয়, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে।

এসএন/রুপা

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]