ভারতের উত্তর প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন আটজন তীর্থযাত্রী। তাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। রোববার (২৪ আগস্ট) গভীর রাতে বুলন্দ শহরের আলীগড় সীমান্তের আরনিয়া বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর দ্য প্রিন্টের।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ৬১ জন যাত্রী বহনকারী একটি ট্রাক্টর-ট্রলি কাসগঞ্জ জেলার রফাতপুর গ্রাম থেকে রাজস্থানের জাহারপীর মাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। রাত আনুমানিক ২টার দিকে বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে ট্রলিটিকে ধাক্কা মারে। এতে ট্রাক্টর-ট্রলিটি উল্টে যায় এবং বহু যাত্রী আহত হন।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আছেন চালক ই উ বাবু (৪০), রামবেতি (৬৫), যোগেশ (৫০), বিনোদ (৪৫), ঘনিরাম (৪০), মক্ষি (৪০), চাঁদনি (১২) ও শিবাংশ (৬)। সবাই কাসগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জন শিশু রয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আহতদের আলীগড় মেডিকেল কলেজ, বুলন্দ শহর জেলা হাসপাতাল ও খুর্জার কৈলাশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক শ্রুতি, এসএসপি দীনেশ কুমার সিং এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা পরে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (গ্রামীণ) দীনেশ কুমার সিং জানান, রোববার রাত ২টা ১০ মিনিটে আরনিয়া বাইপাসের কাছে বুলন্দ শহর-আলীগড় সীমান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।
দুর্ঘটনার খবর রফাতপুর গ্রামে পৌঁছালে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতদের পরিবারে চলছে আহাজারি। স্থানীয়দের অভিযোগ, অরক্ষিতভাবে তীর্থযাত্রী পরিবহন করাই প্রায়ই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এসএন/রুপা