জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
এদিকে, এরইমধ্যে জাকসু নির্বাচনে প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট আয়জনে নির্বাচন কমিশনও প্রস্তুত।
এবারের নির্বাচনে ভিপি পদে ১০ জন থাকলেও অমর্ত্য রায় নামের একজন প্রার্থীরা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। আর ৯ জিএসের মধ্যে প্রচারণার শেষ সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া দিনে নাম প্রত্যাহার করে নেন। এজিএস পুরুষ পদে ১০ ও নারী পদে ৬ জন লড়ছেন। এছাড়া, বাকি ২১টি পদে একাধিক প্রার্থী রয়েছে ।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ আবাসিক হলের প্রতিটিতেই ভোটকেন্দ্র থাকছে। এরমধ্যে ১১টিতে ছাত্র ও ১০টিতে ছাত্রীরা ভোট দেবেন। মোট ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। পোলিং অফিসার ও সহকারী মিলিয়ে থাকবেন ১৩৪ জন ভোটের দায়িত্বে থাকবেন।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, একজন প্রার্থী কতটুকু কাজ করতে পারবেন। সেটি বিবেচনায় নিয়েই ভোট দেব। আরেকজন বলেন, প্রার্থী বাছাই করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে প্রাধান্য দিব। কোন প্যানেল থেকে দাঁড়িয়েছে সেটি বিবেচনায় নেব না।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. রাশেদুল আলম বলেন, মনিটরিং রুম থেকে ২১টি ভোটকেন্দ্রে নজরদারি করা হবে। জাকসু নির্বাচনে কোনো অপশক্তি যাতে ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে সেজন্য কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে, ভোটের নিরাপত্তায় অন্তত ১২০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটেই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিষ্টার ভবনের সিনেট হলে ভোট গণনা হবে। ছাত্রী ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী গণমাধ্যমকর্মী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।