সালাদ আজকাল সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এই সালাদ তৈরি করা যায় প্রায় সবকিছু দিয়েই! এটি আপনি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। আমরা অনেকেই খাবারের সঙ্গে বা ক্ষুধা লাগলে হালকা নাস্তা হিসেবে সালাদ উপভোগ করি।
কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন অনেক বিশেষজ্ঞ দুপুরের খাবারের আগে সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দেন? মূল খাবারের আগে সালাদ খাওয়া কেবল একটি ভালো অভ্যাস নয়; এটি হজমশক্তি উন্নত করতে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সারাদিন শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দুপুরের খাবারের আগে সালাদ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. বেশি খাওয়ার ভয় নেই
সালাদ দিয়ে খাবার শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার ক্ষুধা কমবে। সবজিতে থাকা ফাইবার পেট ভরিয়ে দেয়, তাই মূল খাবারের সময় তুলনামূলক কম খাওয়া হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, খাবারের আগে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে পারে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে
কার্ব-সমৃদ্ধ দুপুরের খাবারের আগে ফাইবার সমৃদ্ধ সালাদ খাওয়া স্টার্চ এবং শর্করার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এটি রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে, যা আপনাকে বিকেলে ক্লান্তির পরিবর্তে শক্তি এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, খাবারের আগে শাক-সবজি খেলে তা খাবারের পরে রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করে।
৩. পুষ্টিকর খাবার বৃদ্ধি
প্রথমে শাক-সবজি খেলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ শোষণ করা সহজ হয়ে যায়। পালং শাক এবং কেল জাতীয় পাতাযুক্ত শাক-সবজি ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা হৃদরোগ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং উজ্জ্বল ত্বক বজায় রাখতে কাজ করে। ভারী খাবারের আগে সালাদ খেলে তা শরীরের পুষ্টি শোষণকে অগ্রাধিকার দিতে সাহায্য করে।
৪. উন্নত হজম
কাঁচা শাক-সবজি দিয়ে খাওয়া শুরু করলে এনজাইম এবং ফাইবার তৈরি হয় যা হজমে সহায়তা করে। এটি বাকি খাবার প্রক্রিয়া করা সহজ করে এবং পেটফাঁপা বা অস্বস্তি কমায়। নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য এবং মসৃণ মলত্যাগে সহায়তা করে।
৫. হাইড্রেশন এবং ডিটক্স
শসা, লেটুস এবং সেলারি জাতীয় অনেক সালাদের উপাদানে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। প্রথমে এগুলো খেলে তা শরীরকে হাইড্রেট করতে এবং প্রাকৃতিকভাবে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, যা আমাদের সারাদিন সতেজ রাখে। খাবার থেকে হাইড্রেশন কিডনি এবং লিভারের কার্যকারিতায়ও সহায়থা করে।