43275

09/16/2025   ৪ লক্ষাধিক টাকার অনিবন্ধিত ইনসুলিন-ওষুধ জব্দ

  ৪ লক্ষাধিক টাকার অনিবন্ধিত ইনসুলিন-ওষুধ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৪

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ওষুধের বাজারে অভিযান চালিয়ে আটটি দোকান থেকে চার লক্ষাধিক টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ, ইনসুলিন জব্দ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র‍্যাব। এ সময় লাইসেন্সবিহীন দোকান ও সংরক্ষণ ত্রুটির অভিযোগে সমপরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দার নির্দেশনায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান। তিনি বলেন, আজকের অভিযানে আমরা মোট আটটি দোকানে প্রবেশ করে প্রায় চার লাখ দশ হাজার টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করেছি। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন ও কিডনি রোগের ওষুধও ছিল। এসব ওষুধ সরকারের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছিল। কিছু দোকানের আবার বৈধ লাইসেন্সও ছিল না। তাছাড়া নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণের নিয়মও তারা মানেনি। এসব অপরাধের কারণে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আবু হাসান বলেন, জব্দ ওষুধগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো পণ্য বৈধ নিবন্ধন ছাড়াই বাজারজাত হলে তা রোগীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অভিযান চলাকালে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তারা স্পষ্ট করেছেন– অবৈধ ব্যবসার পক্ষে তারা নেই। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে তারাও দায়িত্ব নেবেন।

মিটফোর্ড এলাকার ওষুধ দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, এসব অনিয়মের বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন না। তাদের বক্তব্য, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে তারা নিজেরাই ব্যবস্থা নেবেন। তবে দোকানপাটের বাস্তবতায় বলছে, নিয়মিত নজরদারি না থাকলে অনিবন্ধিত ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করা কঠিন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইনসুলিন ও কিডনি রোগের ওষুধ সরাসরি জীবনরক্ষাকারী হিসেবে গণ্য। অথচ এসব পণ্যের অনিয়ন্ত্রিত বেচাকেনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত করছে। বিশেষ করে মিটফোর্ড বাজার থেকে সারাদেশে পাইকারি সরবরাহ হয় বলে এখানকার অনিয়ম সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযানের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রি করলে ছাড় দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে নিয়মিত নজরদারি জোরদার করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]