দখলদার ইসরায়েলের হামলার পর শরীরের ওপর ধসে পড়েছিল বাড়ি। তা সত্ত্বেও বেঁচে গিয়েছিলেন গাজার এক নারী। ওই সময় ধ্বংসস্তূপ থেকে বাঁচতে নিজের আত্মীয়-স্বজনকে একাধিকবার ফোন দিতেও সক্ষম হন তিনি।
তবে দখলদার ইসরায়েল আবার হামলা চালালে ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত্যু হয় তার। একইসঙ্গে তার দুই সন্তানও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে গত সোমবার গাজা সিটির তাল আল-হাওয়া এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওইদিন সন্ধ্যায় ঘাদা রাবাহ নামে ওই নারী ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাহায্য চেয়ে প্রথম ফোন করেন। ফোনে আত্মীয়দের জানান, তিনি আটকা পড়ে আছেন। এর আগের দিন তার ভাই ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।
তার সাহায্যের আবেদন পেয়ে ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্স সেখানে যেতে চেয়েছিল। যেহেতু স্থানটি ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণে তাই ইসরায়েলের কাছে তারা আবেদন করছিল— যেন ওই নারীকে উদ্ধার করার সুযোগ তাদের দেওয়া হয়।
কিন্তু দুইদিন পর্যন্ত তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর মঙ্গলবার দিনের শেষ দিকে তাদের যেতে দিলেও সেখানে গিয়ে উদ্ধারকারীরা দেখতে পান বাড়িটিতে ইসরায়েল আবারও হামলা চালিয়েছে। এতে এটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপর ওই বাড়ি থেকে ঘাদা রাবাহ এবং তার দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যেখানে এ নারী ও তার দুই সন্তান এমন নির্মমতার স্বীকার হয়েছেন, সেই জায়গার কাছেই হিন্দ রজব এবং তার পরিবার মর্মান্তিকভাবে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
সূত্র: আলজাজিরা