শীত এলে ত্বকে তার প্রভাব পড়বেই। এসময় ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় নানাকিছু ব্যবহার করেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। শীতে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়া সাধারণ সমস্যা।
আপনিও নিশ্চয়ই এই সমস্যা কম-বেশি মোকাবিলা করছেন? কেমিক্যালযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ও প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে ত্বক আরও বেশি খসখসে হয়ে যায়।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক ক্লিনজার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কাঁচা দুধ
দুধ শুধু শরীরকে ভেতর থেকেই পুষ্টি জোগায় না, বরং এটি ত্বককে বাইরে থেকেও উপকার করতে পারে। আমাদের ত্বকের কোমলতা বজায় রাখতে কাজ করে কাঁচা দুধ। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের জমে থাকা ময়লা দূর করে সহজেই। সেজন্য পরিষ্কার তুলো নিয়ে কাঁচা দুধে চুবিয়ে নিন। এবার মুখে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
মধু
মধুর যে কত গুণ, তার কয়টাই বা আমরা জানি! এই যেমন ত্বকের খসখসেভাব দূর করার জন্য মধুটা কতটা কার্যকরী তা কি আপনি জানতেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজই একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মধুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা দূর করে। যার মধ্যে একটি হলো এটি ত্বকের খসখসেভাব কমায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে খুব সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ ওভাবেই রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। পরিবর্তনটা নিজেই দেখতে পাবেন।
আলু
ত্বকের যত্নে যে আলুও বেশ কার্যকরী, তা জানা আছে নিশ্চয়ই? সম্ভবত এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে আলু খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই হাতের কাছে আর কিছু না পেলে আলুকেই বেছে নিন। আমাদের ত্বকে সৃষ্ট ডার্ক সার্কেল থেকে শুরু করে সানবার্ন দূর করা পর্যন্ত আলু অনেকভাবে সাহায্য করে। সেজন্য একটি আলু খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর সেই ব্লেন্ড করা আলু ত্বকে লাগিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে মিনিট পনেরো। আর তারপর পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিলেই ত্বকে তার প্রভাব বুঝতে পারবেন।