সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে প্রাইভেট পরিবহনে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আসার চেষ্টা করছে। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ঢাকা থেকে আসা অতিপ্রয়োজনীয় যানবাহন ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিগত পরিবহন ফেরত পাঠাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রাইভেট গাড়ী এসব চেকপোস্টে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে সেসব গাড়িকে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
হাইওয়ে ময়নামতি ক্রসিং থানার ওসি মোঃ সাফায়েত হোসেন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা, ইলিয়টগঞ্জ, আলেখারচর, মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় চেকপোস্ট রয়েছে। এসব চেকপোস্ট দিনরাত ২৪ ঘন্টা তল্লাশিসহ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চলছে। ঈদের পরও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সাফায়েত হোসেন আরো জানান, অন্যান্য ঈদে আমরা পথে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি বাড়ি পৌঁছাতে। এবার আমরা তাদের নিরাপত্তার কথা নিশ্চিত করতেই বাড়ি না ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। কেউ যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্য কোন জেলায় যান-তাহলে সামাজিক ভাবেই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। ঈদের আনন্দ তখন বিষাদে পরিণত হবে। আমরা চাই না এভাবে কেউ বিপদে পড়ুক।
গত মঙ্গলবার থেকেই আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। অনেকেই রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় যেতে এই মহাসড়ককেই ব্যবহার করছেন নিরুপায় হয়ে। গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীরা ব্যবহার করছেন ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস। অনেকেই ছুটছেন মোটর সাইকেলে করে।
এছাড়া গত মঙ্গলবার সকাল থেকে যাত্রীরা ঢাকা থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অটোরিকসা, ইজিবাইক বা রিকসা-সিএনজিতে করে গন্তব্যে ছুটছেন। তাদের ঠেকাতেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।